1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ আটক স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক, নিঃর্শত ক্ষমা চাইলেন ময়মনসিংহের সেই চিকিৎসক চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি সানাউল্লাহ কুকুরছানা হত্যা মামলায় সেই নিশির জামিন সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আসিফ নজরুল

এক যুগ ধরে শেকলবন্দি সাঈদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ছোট থেকেই একটু ‘সহজ-সরল’ আবু সাঈদ। তবে বয়স যখন ১৩ বছর তখন থেকেই কিছুটা অস্বাভাবিক। হঠাৎ-হঠাৎ পরিবারের কাউকে না বলে নিরুদ্দেশ চলে যেতো। আবার ফিরে আসতো একাই। মারধোর করতো স্থানীয়দের। এরপর থেকে তাকে শেকলবন্দি করে রাখে পরিবার। এক-দুই দিন না, দীর্ঘ একযুগ ধরেই শেকলবন্দি সাঈদ।

আবু সাঈদ (২৫) নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের মধুকুড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।

মুক্ত থাকলে হারানোর ভয় ও অন্যের ক্ষতি করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় তাকে শেকলবন্দি করে রাখে পরিবার। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির সামনে একটি গাছে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। রাতে নেওয়া হয় ঘরের বারান্দায়। তবে সেখানেও রাখা হয় শেকলবন্দি। খাওয়া-দাওয়াসহ সাঈদকে সকল প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয় শেকলবন্দি অবস্থায়।

১৩ বছর বয়সে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখানো হয় তাকে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চললেও কোনো পরিবর্তন আসেনি সাঈদের। একপর্যায়ে টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা। এরপর থেকে তার শেকলবন্দি জীবন।

সাঈদের মা সেলিনা (৪৩) বলেন, ‘আমরা গরিব বিধায় ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত সাঈদের বন্দিদশা দেখতে হচ্ছে।’

সাঈদের চিকিৎসার জন্য একবার স্থানীয় সংসদ সদস্য বাবু মানু মজুমদার মহোদয়ের কাছ থেকে চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন তার বাবা বাবুল মিয়া। তবে সংসারের আয়ের উৎস না থাকায় এখন অভাবে দিন কাটছে তাদের। একটি সরকারি ঘর চেয়েও পাননি বলে জানিয়েছেন বাবুল মিয়া।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, সাঈদের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তার সুচিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি