1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

মোবাইলে প্রেম, বিয়ের চাপ দেয়ায় যুবতীকে হত্যার পর আলাদা করা হয় মস্তক

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২

ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামে এক নারীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধারের চারদিন পর তার পরিচয় এবং হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র‌্যাব)-১৪।

নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ওই যুবতীর নাম সুলতানা বেগম (২৭)। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর গ্রামের তিলকপাড়া গ্রামের ফুলু মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে হত্যাকান্ডের মূল হোতা গ্রেফতারকৃত আসামির নাম সেলিম মল্লিক (৩০)। তিনি ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ধানীখোলা গ্রামে আসামির দেখানো জায়গা থেকে থেকে নারীর দেহ থেকে আলাদা করা মস্তকটি উদ্ধার করা হয়। পরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে র‌্যাব-১৪’র অধিনায়ক উইং কমন্ডার মো. রোকনুজ্জামান ঘটনার বিস্তারিত জানান।

র‌্যাব-১৪’র অধিনায়ক বলেন, কর্মস্থানের সূত্রে গাজীপুরে থাকতেন সুলতানা বেগম (২৭) নামে ওই নারী। ঘাতক সেলিমের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় তার এবং একপর্যায়ে তিনি জড়ান প্রেমের সম্পর্কে। প্রায়ই তারা দেখাও করতেন। সম্প্রতি সুলতানা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় সেলিমকে। এটিই কাল হয় তার। বিয়ের সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই সুলতানাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেলিম।

তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারি সুলতানাকে নিয়ে দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় সেলিম। এরপর রাতে কাটাখালী এলাকায় নিয়ে এসে একজনের সহায়তায় সুলতানাকে নির্মম-নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরে লাশের পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে তার দেহ থেকে মস্তক আলাদা করে একটি ডোবায় লুকিয়ে রাখে তারা। পরদিন উদ্ধার হয় তার মস্তকহীন মরদেহ।

এরপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৪। সেই প্রেক্ষিতে ঘটনার চারদিনের মাথায় হত্যাকান্ডে সেলিমের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-১৪’র অধিনায়ক উইং কমন্ডার মো. রোকনুজ্জামান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি