1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ আটক স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক, নিঃর্শত ক্ষমা চাইলেন ময়মনসিংহের সেই চিকিৎসক চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি সানাউল্লাহ কুকুরছানা হত্যা মামলায় সেই নিশির জামিন সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আসিফ নজরুল

গোপনে দাফন : কবর থেকে কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গোপনে দাফন করার ৩৯ দিন পর স্বর্ণা (১৬) নামে এক কিশোরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তারাকান্দি ইসলামপুর মাদরাসা কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাশফিয়া তাসরিনের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় এলাকার মানুষ ভিড় জমান।

স্বর্ণা উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের স্বপন মিয়ার মেয়ে। ১৩ মে রাতে গোপনে ওই কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

গৌরীপুর সার্কেল এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কিশোরীর বাবা মামলা করার পর আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণাকে নিয়ে তার মা আছমা উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকতেন। মায়ের মৌন সম্মতিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। বিপাকে পড়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য কিশোরীকে কবিরাজি ওষুধ সেবন করানো হয়।

হঠাৎ তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে গত ৯ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। কিন্তু তাকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ১১ মে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১২ মে দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীর মৃত্যু হয়।

কিশোরীর মা, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গোপনে উপজেলা সদর ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের ইসলামপুর মাদরাসার কবরস্থানে কিশোরীর মরদেহ দাফন করে। কিন্তু বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে পেরে স্বর্ণার বাবা স্বপন বাদী হয়ে গত ২৩ মে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতের বিচারক মো. রাফিজুল ইসলামের কাছে মামলার আবেদন করেন। ২৪ মে মামলাটি আমলে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন আদালত। ৩১ মে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার ৯নং উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, তার বড় ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, স্বর্ণার মা আছমা, চেয়ারম্যানের বডিগার্ড দুলাল মিয়া ও মাহাবুবুল আলম। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি