ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলেছে, নয়াদিল্লি, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকা বাংলাদেশ মিশন নিয়ে উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রণয় ভার্মাকে ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকা বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত ১০ দিনে প্রণয় ভার্মাকে দ্বিতীয়বার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হলো।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ঘটনায় এ নিয়ে অন্তত ছয়বার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশটির রাষ্ট্রদূতকে।
আজকের আগে ১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। পরে এই তলবের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে দেশটির সহযোগিতা কামনা করা হয়। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়। নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও প্রণয় ভার্মাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাল্টা তলব করা হয়।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিতে দুই দেশের হাইকমিশনারদের পাল্টাপাল্টি তলবের ঘটনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।
গত শনিবার রাতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
এদিকে আজ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপ–হাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। এমন পটভূমিতে ঢাকা-দিল্লি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন সংকটের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।