1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহ-৪-এ রাশেদ খাঁনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা ধানের শীষ নিয়ে ভোট করতে গণঅধিকার ছাড়ছেন রাশেদ খাঁন; নুর বললেন ‘কৌশল’ জমায়েত বাড়ছে শাহবাগে, রাতভর থাকার ঘোষণা উপদেষ্টারা শাহবাগে না আসা পর্যন্ত অবস্থান ছাড়বে না ইনকিলাব মঞ্চ: জাবের গুলিস্তানে বাণিজ্যিক ভবনের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট নিয়ম মেনে তারেক রহমানের পক্ষে স্মৃতিসৌধে বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধা সাবেক মন্ত্রীর ‘এপিএসের’ ইন্ধনে নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন ইনকিলাব মঞ্চের শাহবাগে অবস্থান, উপদেষ্টাদের আলটিমেটাম ওসমান হাদিকে স্মরণ করে যা বললেন তারেক রহমান বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠান গ্রেফতার

মিথ্যা মামলায় হয়রানি, বাদীর কারাদণ্ড

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তির ৭ দিনের কারাদণ্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম এই আদেশ দেন।

দণ্ডিত আবুল কাশেম রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ধন্দহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। আদালতে প্রতিবেশী সুফিয়া বেগমসহ চার জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন আবুল কাশেম। মামলা নম্বর সিআর ৬৬/২০২০ (বাঘা)।

বৃহস্পতিবার সাজানো এই মামলা থেকে আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় চারজন আসামির প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বেঞ্চ সহকারী মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচার শেষে আদালতের কাছে বাদীর অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক প্রতীয়মান হয়। ফলে আদালত আসামিদের খালাস দিয়ে বাদীকেই ৭ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে চারজন আসামির প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।

আদালত তার আদেশে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে নারীর শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হলেও বাদী কিংবা তার কোনো একজন সাক্ষী আদালতকে শ্লীলতাহানি সম্পর্কে একটি শব্দও বলেননি।

মামলার ভিকটিম বাদীর স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি স্ত্রীকে আদালতে সাক্ষী হিসেবে আনতে পারেননি। শুধু তাই নয়, বাদীর মানীত দুজন সাক্ষী আদালতে এসে আসামিদের পক্ষ নিয়ে বলেছেন। ঘটনার দিন চারজন আসামির দুজন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না, তারা সেদিন অন্য জেলায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। এই সাক্ষীরা আরও বলেন, ঘটনার দিন বরং আসামিরাই আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বাদীর সাক্ষীরা আসামিদের পক্ষাবলম্বন করে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন- এমনটি জ্ঞাত হওয়ার পরও বাদীর আইনজীবী তাদেরকে জেরা করেননি।

সাক্ষ্যপ্রমাণ, তদন্তকারীর প্রতিবেদন এবং উভয়পক্ষের বক্তব্য অনুসন্ধানে আদালতের কাছে স্পষ্ট হয়, আসামিদের দায়ের করা একটি মামলার পাল্টা শোধ হিসেবে বাদী এ মামলাটি করেছেন।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, গত ২২ জুন রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। সেদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বাদী আবুল কাশেম। ওইদিন আদালত তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের প্রত্যেককে বাদী কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন না এবং বাদীকে কেন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের জন্য কারাদণ্ড প্রদান করা হবে না তা জানতে চান আদালত।

বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে বাদী এক ব্যাখ্যা আদালতে দাখিল করেন, যা সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি