1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহ-৪-এ রাশেদ খাঁনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা ধানের শীষ নিয়ে ভোট করতে গণঅধিকার ছাড়ছেন রাশেদ খাঁন; নুর বললেন ‘কৌশল’ জমায়েত বাড়ছে শাহবাগে, রাতভর থাকার ঘোষণা উপদেষ্টারা শাহবাগে না আসা পর্যন্ত অবস্থান ছাড়বে না ইনকিলাব মঞ্চ: জাবের গুলিস্তানে বাণিজ্যিক ভবনের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট নিয়ম মেনে তারেক রহমানের পক্ষে স্মৃতিসৌধে বিএনপি নেতাদের শ্রদ্ধা সাবেক মন্ত্রীর ‘এপিএসের’ ইন্ধনে নির্বাচন কার্যালয়ে আগুন ইনকিলাব মঞ্চের শাহবাগে অবস্থান, উপদেষ্টাদের আলটিমেটাম ওসমান হাদিকে স্মরণ করে যা বললেন তারেক রহমান বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠান গ্রেফতার

ছেলের প্রবেশন সুবিধা বাতিল চাইলেন মা, কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলেন আদালত

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মাদক মামলার আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের লক্ষ্যে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু মুক্তি পেয়ে প্রবেশন সুযোগের অপব্যবহার করেন আসামি এবং সংশোধন হওয়ার বদলে পরিবার ও প্রতিবেশীদের অতিষ্ঠ করে তোলেন। নিরুপায় মা আদালতে এসে নিজের সন্তানের প্রবেশন সুবিধা বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। পরে আসামিকে শুনানির সুযোগ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রোববার রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মারুফ আল্লাম এ আদেশ দেন। রোববার বিকেলে ঐ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম এক মামলায় ১০ পিস ইয়াবা হেফাজতে রাখার দায়ে আটক হন। বিচার শুরু হলে গত ২১ জুলাই তিনি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে সংশোধনের সুযোগ প্রার্থনা করেন।

আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করলেও তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে প্রেরণ না করে বেশ কিছু শর্ত দিয়ে পরিবার ও সমাজের সঙ্গে অবস্থান করে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দেন। শর্তে বলা হয়, আসামি মাদকসহ কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে কিংবা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না।

কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর আসামি মো. শফিকুল ইসলামের মা আদালতে হাজির হয়ে বলেন, প্রবেশনে মুক্তি পেয়ে তার ছেলে (আসামি) বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে এবং পুকুরের মাছ চুরি, গাছ কাটা ও মাদক সেবনের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়েছে। ছেলের প্রবেশন সুবিধা বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রার্থনা করেন ঐ মা।

মায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মো. শফিকুল ইসলামের প্রবেশন সুবিধা বাতিল করে কেন তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর জন্য আসামিকে আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে আসামি সম্পর্কে তার মা যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, সেগুলোর সত্যতা আছে কিনা এবং প্রবেশনের শর্তগুলো আসামি সত্যিই মেনে চলছেন কিনা, সে বিষয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার কাছ থেকেও লিখিত প্রতিবেদন তলব করেন আদালত।

আসামির প্রবেশন বাতিল বিষয়ে শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য ছিল। নোটিশ পেয়েও আসামি মো. শফিকুল ইসলাম এদিন আদালতে হাজির হননি। অন্যদিকে প্রবেশন কর্মকর্তা লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতকে জানান, আসামি মো. শফিকুল ইসলামের মধ্যে প্রবেশনের শর্ত প্রতিপালনে কোনো প্রচেষ্টাই নেই। বর্তমানে তার মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে বরং অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি পুকুরের মাছ চুরি করছেন, পিতা-মাতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন এবং তাদেরকে শারীরিক লাঞ্ছনা ও ভয়ভীতি প্রদান করছেন। আসামি প্রতিবেশী শিশুদেরও ভীতিকর পরিস্থিতিতে রেখেছেন। এসব কারণে আসামির পরিবার, প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন তার আচরণে চরম ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত মর্মেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

শুনানি শেষে আদালত আসামি মো. শফিকুল ইসলামের প্রবেশন সুবিধা বাতিল করেন। আদালত আদেশে বলেন, প্রবেশনের শর্তে মাদক গ্রহণ ও শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল। আসামির নিজের মা আসামির প্রবেশন সুবিধা বাতিলের আবেদন করেছেন এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েও আসামি আদালতে হাজির হননি। প্রবেশন কর্মকর্তার প্রতিবেদন থেকেও স্পষ্ট যে, আসামি প্রবেশনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। এসব কারণে আদালত আসামিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করার আদেশ দিয়ে আসামির প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালতে নিযুক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, প্রবেশনে প্রেরণের মধ্য দিয়ে আদালত আসামিকে সংশোধনের একটা সুযোগ দেন। এ সুবিধার অপব্যবহার করলে প্রবেশন সুবিধা যে বাতিল হতে পারে এবং আসামিকে কারাগারে যেতে হতে পারে, এটা অনেক ক্ষেত্রে প্রবেশনে মুক্ত আসামিরা ভুলে যেতে পারেন। এ আদেশের মধ্য দিয়ে আদালত একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি