বড় ভাইকে পরিবারের সহায়তায় হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে ছোট ভাই পিটিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুর পর অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯-এ ফোন করেন তিনি। পরে পুলিশ এসে উঠানে লাশ পড়ে থাকতে দেখলেও মা-বাবাসহ পরিবারের সকলেই লাপাত্তা হয়ে যান। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার সময় এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামে।
আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের মো. শাহীন উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া পরিবারের সঙ্গে বিরোধ থাকায় পাশের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া এলাকায় শ্বশুড়বাড়িতে বসবাস করেন। তিনি মাদকাসক্ত। শ্বশুরবাড়ি থেকে মাঝেমধ্যে নিজের জমিজমার হিস্যা নিতে বাড়িতে এসে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। এতে পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তাড়িয়ে দেন। তারপরও মাদকাসক্ত হয়ে ফের বাড়িতে এসে পরিবারের ওপর হামলা চালান তিনি। এই অবস্থায় গ্রামের লোকজনের কাছে বিচার চাইলে গ্রামের মাতব্বররাও ক্ষিপ্ত হয়ে আবার আসলে তাকে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেন।
এর মধ্যে গত দু’দিন ধরে ফারুক বাবার কাছে মোবাইল করে ফের জমির ভাগ বাটোয়ারার জন্য চাপ দেন। না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেন। এর মধ্যে গতকাল বুধবার বিকেলে পরিবারের লোকজন জমির ভাগ দেওয়ার কথা বলে ফারুককে বাড়িতে ডেকে আনেন। পরে পরিবারের সকলে মিলে তাকে হাত-পা বেঁধে বেদম পিটুনি দেন। একপর্যায়ে ফারুক মারা যান। প্রতিবেশীরা জানান, মারা যাওয়ার পর অবস্থা বেগতিক দেখে ফারুকের ছোট ভাই জামান ৯৯৯-এ ফোন করেই বাড়ি থেকে সবাই চলে যান।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো কাউসার আহম্মেদ জিহাদ জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হোসনা বেগম বাদী হয়ে নিহতের মা, বাবা, ভাই ও চাচাদেরসহ মোট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।