1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জামালপুরে ১৭টি হারানো মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে পুলিশ বোরহানউদ্দিনে ওয়াশ মার্কেট সিস্টেম উন্নয়ন বিষয়ক সভা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে ৭ জানুয়ারি ভোটের সফলতা ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি ‘অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব’ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নতুন নির্দেশনা দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি পুলিশের পক্ষ থেকে বোরহানউদ্দিনে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বোরহানউদ্দিনে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎসচিব আগামী বছর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেয়া হবে ৭০ শতাংশ হজযাত্রী: ধর্মমন্ত্রী

কিশোরীকে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রস্তাবিত তিব্বত কারখানার সীমানা প্রাচীরের ভেতরে মাটিচাপা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর লাশ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। ওই কিশোরীর নাম মিনু আক্তার (১৬)। টাকা না দেওয়ায় সৎমেয়ে মিনু আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখেন বাবা শফিকুল ইসলাম। এই ঘটনায় সৎবাবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামে ওই কারখানার সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ছোট দুচালা ঘরের পাশে দুই হাঁটু বের হওয়া মাটিচাপা অবস্থায় ওই কিশোরীর লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় ওই কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

থানা সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে পুলিশের টিম কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে টাকা না দেওয়ায় তিনি তার সৎমেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওইদিন বিকেলেই পুলিশ তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিলে তার জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার সৎমেয়েকে হত্যার ঘটনায় তার সঙ্গে জড়িত আরেকজনের নাম প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার জমিরদিয়া এলাকা থেকে অপর আসামি রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। রিপনকে পুলিশ রোববার (২৬ জুন) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘শফিকুলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তবে তিনি ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। কয়েক বছর আগে সৎমেয়ে মিনুকে মেনে নিয়ে মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। মাহমুদা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন ও শফিকুল ভাঙারির ব্যবসা করতেন। গার্মেন্টসে অনেক দিন কাজ করায় মাহমুদার এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা হয়। ওই টাকা দিয়ে মেয়ে মিনুর নামে ডিপোজিট করার পরিকল্পনা করেন মা মাহমুদা।’

তিনি আরও জানান, ‘বিষয়টি শফিকুল জানতে পেরে মাহমুদার কাছে টাকা চান। তবে মাহমুদা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বন্ধু রিপনকে নিয়ে সৎমেয়ে মিনুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৮ জুন মা মাহমুদা বাড়িতে না থাকায় রাতে ঘুমন্ত মিনুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন তারা। পরদিন আবারও রাতে ওই মরদেহ একটি কারখানায় বাউন্ডারির ভেতর মাটি গর্ত করে পুঁতে রাখেন।’

‘এদিকে মিনুকে চাপা দেওয়া মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে গিয়ে তার পা বের হয়ে আসে। এভাবে ১৭ দিন পার হলে মরদেহ পুরোটাই ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিপন মিয়াকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’ বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি