1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৬০-৭০ ছাত্রের ঠাঁই হলো একটি কক্ষে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবি আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত পূরণ হয়নি। তবে ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আগের দুই রাতের মতো মাঠে কাটাতে হয়নি। তাঁদের থাকার জন্য ছাত্রাবাসের সাধারণ একটি কক্ষ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৬০ থেকে ৭০ ছাত্র গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছিলেন।

ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আজ সকালে শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেলা দেড়টার মধ্যে চিঠির কোনো জবাব পায়নি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের আপাতত মৌখিকভাবে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল ছাত্রাবাসের যে কক্ষে ছাত্রদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জনকে থাকতে হয়েছে। এখানে পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারগুলো অপরিষ্কার। আপাতত আন্দোলন স্থগিত করলেও শিক্ষার্থীরা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান এবং সব ধরনের সুযোগ–সুবিধাসহ স্থায়ীভাবে ছাত্রাবাসে থাকার দাবি জানান। যদি তাঁদের দাবি আজকের মধ্যে পূরণ করা না হয়, তাহলে তাঁরা আবারও আন্দোলনে নামবেন।

আজ বেলা দেড়টার দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহা. আবদুর রকিব বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে মাঠে রাত কাটাতে না হয়, সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের অনুমতি পেলেই ছাত্রাবাস পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে বলা হয়েছে এবং আপাতত তাঁদের মৌখিকভাবে ছাত্রাবাসে উঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে এবং শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে থাকার সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

একদিকে পরীক্ষা, অন্যদিকে হোস্টেল বন্ধ। এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা গত রোববার থেকে আন্দোলনে নামেন। তাঁরা দুই রাত মাঠে কাটিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রাবাসের সুপার সৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, তাঁরা ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আছে। কারিগরি বোর্ড প্রায় দেড় মাস আগে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাঁরা বারবার ছাত্রাবাস খুলে দিতে বলেন। এই ছাত্রাবাসে ১৫০ শিক্ষার্থী থাকেন। কিন্তু করোনার শুরুতে গত বছরের মার্চ থেকে ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি ছাত্রাবাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি