আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকট প্রকট রূপ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সরকারের দেয়া ভর্তুকিও শেষ হতে চলেছে। দেশটির গভর্নর রিয়াদ সালামেহ জানিয়েছেন, আর মাত্র দুই মাস বেসরকারি ভর্তুকি দিতে পারবে লেবানন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সৌদির আল-হাদাত টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে সালামেহ বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি ফরেনসিক নিরীক্ষার জন্য লেবাননের সরকারি অ্যাকাউন্ট সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেবে, তবে দেশীয় ব্যাংকের এই তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে। আর্থিক সংকটের বিষয়ে এখনই রাষ্ট্রের একটি পরিকল্পনা নিয়ে আসা উচিত। খবর রয়টার্সের
ডলারের বিপরীতে লেবানিজ পাউন্ডের ভয়াবহ দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এর কারণে দেশটিতে নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। ডলারের আন্ত:প্রবাহ কমে যাওয়ায় লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানী, গম এবং ওষুধ এবং কিছু প্রাথমিক পণ্য আমদানি করতে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের জন্য অবনতিশীল রিজার্ভ ব্যবহার করেছে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির অর্ধেক মানুষ দরিদ্র হয়েছে। গভর্নর মঙ্গলবার বলেন, দুই মাসের ভর্তুকি দেয়ার মতো অর্থ আমাদের রয়েছে। ভর্তুকির বিষয়ে এসব প্রশ্ন দায়িত্বে থাকা লোকদেরও করা উচিত। পরিকল্পনার খসড়া করতে আইনপ্রণেতারা এই সপ্তাহে বৈঠকে বসবেন বলেও জানান সালামেহ।
লেবাননকে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কয়েক দশক ধরে চলে আসা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মূল সংস্কারের জন্য ফরেনসিক অডিটের দাবি করেছেন বিদেশি দাতারা। সালামেহ বলেছেন, মূলধন জোগাড় করতে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠন ও বিক্রয় করতে চাইবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে যারা তাদের মূলধন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে না পারে তাহলে তাদের বাজার ছাড়তে হবে। আগে থেকে লেবাননে মন্দা শুরু হয়েছিল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই মন্দা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
লেবাননের অর্থনীতি মূলত বিদেশে থাকা সে দেশের নাগরিকদের রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আর পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। অন্তত দুই কোটি লেবানিজ থাকেন বিশ্বের নানা প্রান্তে। ডলারের দরপতনের কারণে প্রবাসী আয়ে ধাক্কা লেগেছে।