1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৯ অপরাহ্ন

তবু চলছে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এনায়েত উল্লাহর ১০০ বাস

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫

সড়ক পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১৯০টি গাড়ির প্রায় অর্ধশত গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে দুটি পরিবহন কম্পানির কাছে। তবে মালিকানা বিক্রির পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হয়নি। তাতে আইনগত কারণে বাগড়া দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব গাড়ি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আদালতের এই নির্দেশ দেওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যেই এসব গাড়ির কমপক্ষে ১০০ নিয়মিত রাস্তায় চালানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকার গুলশানের দুই ব্যক্তির মধ্যস্থতায় এসব গাড়ি চালানো হচ্ছে। আর দুবাইয়ে অবস্থান করে তা নিজেই সমন্বয় করছেন এনায়েত উল্লাহ। এনা পরিবহনের মালিক এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পুরনো।

গত সরকারের আমলে ২০২১ সালের ১৪ জুন খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। নোটিশে এনায়েত উল্লাহ ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে তদন্তও শুরু করা হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুদক এনায়েত উল্লার বিরুদ্ধে পুনরায় বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সড়ক পরিবহন খাত থেকে দৈনিক কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করতেন। রুট পারমিট বাণিজ্য, অর্থপাচারসহ আরো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ মে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এনা পরিবহন ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০টি বাস জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের আগেই এনায়েতউল্লাহ বিদেশে চলে যান।

বিদেশে যাওয়ার আগে এনা পরিবহন কম্পানির কিছু বাস বিক্রি করেছিলেন। তাঁর কিছু বাসের মালিকানা কাগজপত্রে অন্যদের নামে দেখানো হয়েছে। তবে মূল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এনায়েতচক্রের কাছেই। অভিযোগ রয়েছে, এনা পরিবহনের আয় থেকে একটি অংশ ব্যয় করা হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে। তবে এনায়েতউল্লাহর অনুসারীরা বলছেন, প্রতিপক্ষ ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের বাস দখল করে নিয়েছে। এখন ঢাকা-সিলেট রুটের বাস দখলে নিয়ে চালানোর পাঁয়তারা চলছে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন—নিসআ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর দেশের পরিবহন খাতে নতুন সংস্কারের আশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই প্রত্যাশা ম্লান হয়ে গেছে। দুর্নীতি, দখলদারি ও চক্রের জালে বন্দি রয়েছে ঢাকার সড়ক পরিবহন খাত। অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সড়ক পরিবহন খাত কোনো চক্রের হাতে বন্দি থাকতে পারে না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি