জুলাই অভ্যুত্থান ঘিরে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন দেয়ালের পাশাপাশি সার্কিট হাউজ সংলগ্ন জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের সীমানা প্রাচীরেও আঁকা হয়েছিলো গ্রাফিতি। তবে সীমানা প্রাচীরের সংস্কার কাজের সময় মুছে ফেলা হয়েছে সেই গ্রাফিতি। এ নিয়ে সমালোচনা ও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
সেই পোস্টে লিখা হয়েছে, সকলেই অবগত আছেন যে ৫ ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলো, জেলা প্রশাসকের বাংলোর দেয়ালসহ বাসভবন, ভবনের গেইট, এবং পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ভবন ও দেয়াল মেরামত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করার পরে কিছু আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তির পরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দেয়াল এবং চতুর পাশে বেড়া কাঁটাতারের বেড়াসহ নানাবিধ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজের অনেকদূর অগ্রগতি হয়েছে। এ জীর্ণশীর্ণ ওয়ালের মধ্যে কিছু গ্রাফিতি ছিল। এগুলো থাকা অবস্থায় সংস্কার করা না হলে ভবন ও দেয়াল অরক্ষিত থাকবে। অর্থ বরাদ্দ ল্যাপস হয়ে যাবে।
এতে আরও বলা হয়, ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে চার পাশে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে। ওয়ালগুলোকে উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ওয়ালকে টাচ না করে কাজ করার কোন সুযোগ নেই মর্মে গণপূর্ত অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ কর্তৃক জানানো হয়। তাদের কাজের সময় কিছু গ্রাফিতির উপর সিমেন্টের আঁচড় লাগে। এতে কিছুটা বেমানান লাগছিল। এটা নিয়ে ভুল বুঝবুঝির কোন অবকাশ নেই। গণপূর্ত কর্তৃক নির্মাণ ও মেরামত কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেলে আমি পূর্বের চাইতে আরও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি অংকন করে দিব- ইনশা আল্লাহ ।
জেলা প্রশাসক স্পষ্ট করে বলেন, এই নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলার পক্ষ থেকে। ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের থেকে। ঠিকাদার নিয়োগের সাথে জেলা প্রশাসকের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি আরও উল্লেখ করে, আমি নিজেও ২৪’কে ধারণ করি এবং লালন করি। ২৪ এর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে চাই। ২৪ এর চেতনার পরিপন্থী কোন কাজ আমার দ্বারা হবেনা – এটা সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই।