1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

রক্ত দিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে ছুটে গেলেন তৃতীয় লিঙ্গের শতাধিক মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

ঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ শিশুদের রক্তের চাহিদা পূরণে এগিয়ে এসেছেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) জনগোষ্ঠীর শতাধিক সদস্য।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড ও খিলক্ষেত এলাকা থেকে তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন।

তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রতিনিধি ঝিনুক সিকদার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি যে, ঢাকা মেডিকেলে রক্তের চরম প্রয়োজন। খবর পেয়েই আমরা ১০০ জন একসঙ্গে রওনা দিই, আরও ১০০ জন পথেই আছেন। সবাই এসেছি রক্ত দিতে, যাতে দগ্ধ শিশুদের জীবন বাঁচানো যায়।

জুমা নামের তৃতীয় লিঙ্গের একজন জানান, এই মানবিক উদ্যোগে তারা সাড়া দিয়েছেন গুরু মা পিংকি সিকদারের আহ্বানে। তিনি বলেন, আমাদের গুরু মা বললেন—বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ শিশুদের অনেক রক্তের প্রয়োজন। তিনি প্রশ্ন করলেন, কে কে যাবে? আমরা তখনই একসঙ্গে বলেছি চলুন, আমরা সবাই যাই।

হাবিবা নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজন বলেন, যত রক্ত লাগবে, আমরা দিতে প্রস্তুত। শুধু চাই, ছোট ছোট এই শিশুরা সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক।

পলাশ নামে আরেকজন বলেন, জাতির দুঃসময়ে আমরা সবসময় পাশে থেকেছি। মানুষ সুস্থ না থাকলে আমরাও তো টিকতে পারব না। ওরাই আমাদের ভরসা, ওরাই আমাদের জীবিকার অংশ। ওদের বাঁচলে আমরাও বাঁচব।

চৈতি নামে আরেকজন বলেন, এই মানবিকতা ও সহমর্মিতার উদাহরণ সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে নিয়ে গড়ে উঠুক মানবতার এক অটুট বন্ধন।

এদিকে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন শিশু বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান। নিহত বাকি দুজনের মধ্যে একজন পাইলট, অন্যজন শিক্ষিকা বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, চিকিৎসার সব রকমের প্রস্তুতি আমাদের আছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বার্ন ইউনিটে দুজন ভেন্টিলেশনে আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত ছয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। এ ছাড়া পরিচয় শনাক্তের পর পরিবারের কাছে ২০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি