1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন

হার্ড ইমিউনিটি’র ধারণাটি সমস্যাপূর্ণ : ডব্লিউএইচও

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

হার্ড ইমিউনিটি’র ধারণাটি সমস্যাপূর্ণ : ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
করোনা মহামারি মোকাবেলায় ‘হার্ড ইমিউনিটি’র ধারণাকে ‘বৈজ্ঞানিক ও নৈতিকভাবে সমস্যাপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।

সোমবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘মহামারির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এটা কোনো কৌশল হিসেবে কখনও ব্যবহার করা হয়নি।’ খবর বিবিসি।

হার্ড কথার অর্থ হলো জনগোষ্ঠী। আর ইমিউনিটি হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সমাজের বেশিরভাগ মানুষের শরীরে যখন কোনো বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়, (হয় টিকা গ্রহণ করে, নয়তো জীবাণু সংক্রমণের মাধ্যমে) আর তাতে সুবিধা পায় অন্যরা। এপিডেমিওলজিতে এই ধারণাকেই বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখতে বেশিরভাগ অনুন্নত দেশই কঠোর লকডাউনের বিরোধী। তাই লকডাউনের পরিবর্তে তারা ‘হার্ড ইমিউনিটি’র পক্ষে কথা বলছেন।

এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কঠোর লকডাউনের বিরোধী। করোনা আক্রান্তের পর তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, ‘করোনাকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বেচেঁ থাকতে হবে। করোনার ভয়ে আমরা দেশকে বন্ধ করে দিতে পারি না।’ অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন যে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’র জন্য করোনাকে স্বাভাবিকভাবে ছড়াতে দেওয়া উচিত।

তবে তাদের এই ধারণাকে ঠিক মনে করছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত করার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা হয়। একে ছড়িয়ে দিয়ে নয়। মহামারি প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এটা কোনো কৌশল হিসেবে কখনও ব্যবহার করা হয়নি।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি