1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

আঙ্গর টিভিতে সংবাদ প্রকাশ: দুই পা সংযোজন হওয়ার পথে অদম্য সনিয়ার

আরিফুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪

‘দুই পা নেই, মায়ের কোলে চড়ে কলেজে আসেন সনিয়া’ এই শিরোনামে গত ৭ ডিসেম্বর আঙ্গর টিভিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারি ও বেসরকারি  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। সংবাদটি পড়েন লেটস ওয়ার্ক ফর  বাংলাদেশ  এর প্রেসিডেন্ট  বোরহান সাফি। পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জনতার ঈশ্বরগঞ্জ’ গ্রুপের মাধ্যমে সনিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন।

পরে বগুড়ার ঠেঙ্গামারা টিএমএসএস এন্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে লিম্ব প্রকল্পের সমন্বয়ে সনিয়াকে দুটি উন্নত প্রযুক্তির  কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়। এছাড়া সংবাদটি প্রকাশের পর সরকারিভাবেও  সনিয়ার দুটি কৃত্রিম পা সংযোজনের  আশ্বাস দিয়েছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া। তবে  সনিয়া ও তার পরিবার বেসরকারিভাবেই পা সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেন।

পরে টিএমএসএস এন্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টি,এমএসএস(বাংলাদেশ) এর উপ নিবাহী পরিচালক-(২) রোটারিয়ান ডা. মতিউর রহমান  নির্দেশনায়  সনিয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুটি কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়।

জানা গেছে, ৮ বছর বয়সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায়  জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে সনিয়ার দুটি পা কেটে ফেলা হয়। এরপর থেকে খুব কষ্টে চলাচল করতে হয় সনিয়াকে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অদম্য সনিয়া মায়ের কোলে চড়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন।

সনিয়ার বাড়ি উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজান-চরনওপাড়া গ্রামে। কৃষক বাবা রইছ উদ্দিনের অভাব-অনটনের ঘরে জন্ম তার। সনিয়ার স্বপ্ন  দুটি কৃত্রিম পা পেলে সে লেখাপড়া করে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে।

আঙ্গর টিভি ও প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সনিয়ার বাবা রইছ উদ্দিন বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর আমার মেয়ের দুটি কৃত্রিম পা লাগানো হয়েছে। আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া।

সনিয়ার মা শিউলি বেগম বলেন,  আমরা হাসপাতালে ১১ দিন ছিলাম।  হাসপাতালের লোকজন খুব আন্তরিকতার সাথে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে  দিয়েছে।

অদম্য সনিয়া আক্তার (১৮) বলেন, কৃত্রিম দুটি পা দিয়ে পুরোপুরি হাঁটার অভ্যাস করতে ৩ থেকে ছয় মাস সময়  লাগবে বলেছে ডাক্তার। তারা কিছু নিয়মকানুন দিয়েছেন, সেগুলো মেনে চললে আমি নিজে নিজেই হেঁটে কলেজে যেতে পারবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।

এ প্রসঙ্গে টি,এমএসএস (বাংলাদেশ) এর উপ নিবাহী পরিচালক-(২) রোটারিয়ান ডা. মতিউর রহমান বলেন, প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা সনিয়ার বিষয়টি জানতে পারি। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে দুটি কৃত্রিম পা সংযোজন করে দিয়েছি। তবে  পা সংযোজনের পর স্বাধীনভাবে হাঁটার জন্য তার ৬ মাস প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কিন্তু এটা খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় আমরা সনিয়াকে বাসায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বর্তমানে সে ওয়ার্কিং ফ্রেমের সাহায্যে  হাঁটাচলা করতে পারছে। ৬ মাসের ভিতরে পূর্ণাঙ্গ ট্রেনিং সম্পূর্ণ করে সে নিজে নিজে হাঁটতে সক্ষম হবে। এর জন্য লেটস ওয়ার্ক ফর অস্ট্রেলিয়া, টিএমএসএস এবং আঙ্গর টিভিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি