বরিশালের বানারীপাড়ায় পুকুরের পানিতে পড়া শিশুকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তাকে দাফনের প্রস্তুতিকালে নড়ে ওঠায় পুনরায় হাসপাতালে এনে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. সুমনের দুই বছরের শিশু সাইমুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির উঠানের পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করার সময় পানিতে পড়ে যায়।
তখন শিশুটির মা উঠানে ধান সিদ্ধ করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় পুকুর থেকে তুলে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত দেব পাল সকাল ১০টা ৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, পরে বাড়িতে নিয়ে দাফন করার জন্য প্রস্তুতি নিলে হঠাৎ শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে। এ সময় তার মুখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে, যা তার মা-বাবাসহ স্থানীয়রা দেখতে পান। ফলে শিশুটিকে নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার তারা বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ করে চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন।
খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন। এদিকে দ্বিতীয় দফা চেষ্টার পরও শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. সুব্রত দেব পাল দাবি করেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তারপরও অক্সিজেন দেওয়া ও ইসিজি করাসহ সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার নিয়ে আসার পরও পুনরায় অক্সিজেন দেওয়া ও ইসিজি করাসহ সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে বিক্ষোভের কথা জেনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে শিশুটির স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করা হয়।