ময়মনসিংহের নান্দাইলে নারী ফুটবলার ধর্ষণ মামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল গ্রেপ্তারের ২৩ দিন পর ধরা খেলেন তাঁকে সহযোগিতা করা কুলি আল-আমিন (২৮)। গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সদস্যকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার পাঁচপাড়া মহল্লার মো. লাল মিয়া ফকিরের ছেলে অহিদুল আলম ফয়সাল। এ অবস্থায় মেয়েটির কলেজে উপবৃত্তি নিশ্চিত করে দেওয়ার কথা বলে গত ২২ এপ্রিল ফরমে স্বাক্ষর লাগবে বলে ফোন করে তাকে ডেকে নেন ফয়সাল। একপর্যায়ে কলেজের একটি ভবনের পেছনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনার দুই দিন পর ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত ফয়সালকে গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে গাজীপুরের গাছা থানাধীন ছয়দানা হাজীপুকুর পাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্র আরো জানায়, এরপর মামলাটি ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানা যায়, রিমান্ডে ফয়সাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় পাহারা দেন আরো দুজন। এর মধ্যে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকা থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নান্দাইল পৌরসভার পাঁচপাড়া মহল্লার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। জানা যায়, আল-আমিন নান্দাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে কুলির কাজ ছাড়াও মহাসড়কে শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার নামে যানবাহন থেকে চাঁদা উত্তোলন করেন।