গাজীপুরের টঙ্গীতে স্কুল ড্রেস পরে ধুমপান করায় চার স্কুলছাত্রীকে বহিষ্কার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ধুমপানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযুক্ত সবাই টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘টিকটক ভিডিও করার জন্য চার শিক্ষার্থী ধূমপানের অভিনয় করেছিল। তারা ধূমপায়ী নয়। ’
ভাইরাল হওয়া ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলের পাশের গলিতে একটি কোচিং সেন্টারের কাছে তিন ছাত্রীর একজন জলন্ত সিগারেটে মুখে নিয়ে ফুঁকছে। আরেকজন দিয়াশলাই দিয়ে সিগারেট ধরাচ্ছে। এ সময় অপর একছাত্রীকে হাস্যজ্বল ভঙ্গিতে পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
তাদের ধূমপানের দৃশ্য কেউ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন অন্য এক ছাত্রী। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ এক ছড়িয়ে দেয়। তবে ভিডিওটি কবে, কখন ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে জানা যায়নি।
এদিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামানের দাবি ছাত্রীদের স্কুলড্রেস পরে ধূমপান এবং ভাইরাল ওই ভিডিও প্রতিষ্ঠানের সুনামহানি করেছে। তিনি বলেন, ‘সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ জেলার মধ্যে সবচেয়ে সুনামধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছাত্রীরা স্কুল ড্রেস পড়ে প্রকাশ্যে ধূমপান করে প্রতিষ্ঠানের সুনামহানি করেছে। তারা স্কুলের শৃংখলা নষ্ট করেছে। শিগগিরই তাদের টিসি দেওয়া হবে। ’
অধ্যক্ষ আরো জানান, ছাত্রীদের ধূমপানের ভিডিওটি গত রমজান মাসের শেষের দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কিন্তু তখন স্কুল বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। স্কুল খোলার পর তিন ছাত্রীকে শনাক্ত করা হয়। ওই তিন ছাত্রী স্বীকার করে, ঘটনার দিন তাদের সঙ্গে আরো একছাত্রী ধূমপান করে। গত মঙ্গলবার (১০ মে) চার ছাত্রীর অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে এনে স্কুলে না পাঠানোর জন্য নিষেধ করা হয়। বিষয়টি গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, ছাত্রীদের ধূমপানের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ করে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ধূমপানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।