ঝড়-বৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো একদিন আগে থেকেই। ঈদের সকালে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ময়মনসিংহের প্রধান জামাতে অংশ নিতে নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঢল নামে মুসল্লিদের। নামাজ শুরু হবার আগেই ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠে।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৮ টায় নামাজের নিয়তে দাঁড়াতেই হঠাৎ শুরু হল বৃষ্টি। মুহুর্তের বেড়ে যায় বৃষ্টির দাপট। এরই মধ্যে কয়েকজন মাথায় ছাতা মেলে ধরতে পারলেও বেশিরভাগ মুসল্লি ভিজে কাক। এমন অবিবেচক বৃষ্টিতে জায়নামাজ ও শরীর ভিজে টইটুম্বর হলেও তারা ঠিকই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন। এ যেন মুসল্লিদের অমিত দৃঢ়তার কাছে হার মানলো বৃষ্টির দাপট।
জেলার প্রধান এই ঈদগাহে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নামাজ আদায় করেন। এতে ইমামতি করেন আঞ্জুমান ঈদগাহ মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ঈদের জামাত শেষে মুসলিম উম্মাহ ও দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর বৃষ্টির মধ্যেও কোলাকুলির চিরায়ত দৃশ্য ছিল ঈদ উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। সব ভেদাভেদ ও দু:খ-কষ্ট ভুলে ভেজা শরীরেই একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
এদিকে এ মাঠেই সকাল সোয়া ৯ টার দিকে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ, মার্কাস মসজিদ, ময়মনসিংহ সেনানিবাস, পুলিশ লাইন্স, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার মাঠ ও বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।