1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

ময়মনসিংহে পূবালী ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েব

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

বাংলাদশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শফিউল্লাহর স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নং লকারে ১৫ ভরি স্বর্ণ সংরক্ষণ করেছিলেন। এরপর তিনি আর লকার খুলেন নাই। গত রবিবার ব্যাংকে গিয়ে লকার খুলে দেখতে পান স্বর্ণ গায়েব হয়ে গিয়েছে। সাথে সাথে বিষয়টি তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।

এদিকে এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আনিসুর রহমান।

সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মহির উদ্দিন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের র্কমর্কতা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক ফারহানা ইয়াসমিনের স্বামী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শফিউল্লাহ জানান, ২০১৯ সালে আমার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের লকারে ১৫ ভরি স্বর্ণ সংরক্ষণ করে। এরপর তিনি আর লকার খুলেন নাই। ব্যাংকে স্বর্ণ সুরক্ষিত আছে মনে করেই এর মধ্যে আর লকার খুলে দেখেননি। তবে এখন স্বর্ণ গায়েব হয়ে যাওয়ায় হতবাক তিনি। প্রতি মাসে লকার ভাড়া বাবদ দেয়া হত তিন হাজার ছয়শ টাকা।

তিনি বলেন, ব্যাংককেও যদি বিশ্বাস না করতে পারি তাহলে যাবো কোথায়। বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছে।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আনসিুর রহমান বলেন, লকার মালিক ৩ বছর আগে এই লকারটি ভাড়া নিয়েছিল। এরপর তিনি আর কখনো আসেননি বলে জানি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে স্বর্ণ গায়েব হবার কোন সুযোগ নেই। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া লকার এখনো অক্ষত, চাবি ছাড়া খোলার কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম ফরাজী বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা শাহ কামাল আকন্দ জানান, স্বর্ণ গায়েবের ঘটনা তিনি শুনেছেন। ভুক্তভোগীকে দ্রুত লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি