বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা এখন হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের কথা নয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাই এটি বলছেন। আর আমরা এদেশের মানুষ বলছি, এটি একটি স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী সরকার।
সোমবার (০২ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আজ মধ্যবিত্তরা নিম্ন মধ্যবিত্তে আর নিম্ন মধ্যবিত্তরা দরিদ্রে পরিণত হয়েছে। দেশে এখন দরিদ্রের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশে ধনী এবং গরীবের মধ্যে যে ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে তা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ।
আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া কোনো স্বৈরাচারকে কখনো হটানো যায় নি উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, এজন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী দিনে সরকার পতনের যেকোনো আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন তো দূরের কথা কোন নির্বাচনই হতে পারে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন পেতে চাইলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনসহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।