1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির প্রশাসকের সাথে সহায়ক কমিটির বৈঠক বিএনপির চেয়ারপারসনের ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র উপজেলা নির্বাচন: ইউপি চেয়ারম্যানদের জন্য সুখবর রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফ’র ৭ সদস্য গ্রেপ্তার থানচি, রুমা, রুয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা জামালপুরে জেএএফ অনুর্ধ-১৪ ওমেন্স ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম -২০২৪ এর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফুটবল ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জামালপুরে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিশুর মৃত্যু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন অপহরণের শিকার দেলোয়ার

পানি কমতেই যমুনায় তীব্র ভাঙন, দিশেহারা মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পানি কমতেই যমুনায় তীব্র ভাঙন, দিশেহারা মানুষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : যমুনা নদীতে পানি কমতে থাকায় তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী, কাকুয়া, হগড়া গয়রাগাছা, চকগোপাল, কাতুলি ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত এক সপ্তাহে মসজিদ মাদরাসাসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভাঙনকবলিতরা। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মাহমুদনগর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদের চাপে বর্ষার ভাঙনে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়। তবে যুগের পর যুগ ধরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। যার ফলে প্রতি বছর তাদের নদী ভাঙনের কবলে পড়তে হচ্ছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে একদিন টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র থেকে এই ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কাকুয়া ইউনিয়নের নুরু ডাক্তার বলেন, আমার বাবার প্রায় ৮০ বিঘা জমি ছিল। যমুনা নদীর ভাঙনে আমাদের কিছুই রইল না। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি এই নদীতে বাঁধ হবে। এখন তো আমাদের সব শেষ, আর বাঁধ দিয়ে কী হবে?
ভাঙনকবলিত আবু তালেব বলেন, ভাঙনের তীব্রতা এতো বেশি যে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার সময়ও পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত সরকারের।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রেশ কাটতে না কাটতেই যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভেঙে গেছে ইউনিয়নের শত বছরের পুরোনো চরপৌলী এলাকার একটি মসজিদ, মাদরাসাসহ কবরস্থান। নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষজন।
মাহমুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাজেদুর রহমান তালুকদার বলেন, ভাঙনকবলিত মানুষ ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তবে এখন পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের মানুষকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি