বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অ্যালামনাই এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এক প্রতিবাদলিপিতে এই দাবি জানানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তায়েফুর রহমান রিয়াদ, দেলোয়ার হোসেন, রাশেদ খান মিলন, মো. হুমায়ুন আহমেদ, ইমরান সিদ্দিকি প্রান্তর, শাহেদ হোসেন, শেখ মেহেদী রুমি জয়, সারোয়ার জামান, তারিক জামান জয় ও রামিম আল রেজুয়ান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিটি প্রক্টর অফিসে গিয়ে প্রদান করা হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ দিবসে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে ফুল দেওয়ার পর বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও সিনিয়র কৃষিবিদদের আনন্দ শোভাযাত্রা চলার মাঝপথে বাকৃবির বর্তমান লাইব্রেরিয়ান খাইরুল আলম নান্নু, প্রকৌশল শাখার আবুল বাসার আমজাদ, আতিকুজ্জামান রয়েল (ডেপুটি রেজিস্ট্রার, বাজেট), ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের মোস্তাইন কবির সোহেল, প্রকৌশল শাখার হুমায়ন কবির, শিক্ষা শাখার মাহমুদুল কবির খানসহ বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত সম্মানীত অ্যালামনাই ও শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং র্যালির ব্যানার টেনে নিয়ে যেতে উদ্যত হয়।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করতে গেলে বিপথগামী কর্মকর্তা এবং সন্ত্রাসী কর্তৃক ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হয়, যা বাকৃবির ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তারা।
এর আগে রবিবার বাকৃবির অফিসার পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবাদলিপি প্রদান করে। তারা দাবি করেন, করোনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যালিসহ সকল জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ছাত্রলীগ ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ক্যাম্পাসে র্যালি করতে চাইলে আমরা তাদের বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। তখন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা আমাদের ওপর আতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনায় অফিসার পরিষদের ১০ জন নেতা আহত হন বলেও তারা দাবি করেন অফিসার পরিষদের নেতারা।
অ্যালামনাই ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাকৃবি অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আমজাদ বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগগুলো তারা করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা র্যালি করতে নিষেধ করলে তারাই বরং আমাদের ওপর হামলা করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি আমরা। ‘
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি লিখিত প্রতিবাদলিপিটি পেয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ‘