জন্মের পর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই বেড়ে ওঠা জিহাদ হাসানের। উচ্চতা তার ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। জীবনে চলার পথে শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতার জন্য নানাজনের হাসির পাত্র হয়েছেন অসংখ্যবার। জিহাদের বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। তাঁর চোখের সমস্যা রয়েছে। পায়ে হেঁটে যেতেও সমস্যা হয়। তবুও থেমে থাকেননি জিহাদ। চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। পণ করেছিলেন সফলতার মাধ্যমেই সবার কটুকথার জবাব দিবেন তিনি।
সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে সাফল্যের সাথে এবছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ২০২০-২০২১ সেশনে ভর্তি হন জিহাদ হাসান।
তিনি পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার মো. ফারুক হোসেন আর রেহানা আক্তারের ছেলে। অদম্য মেধাবী ছাত্র এর আগে ঢাকা বোর্ড থেকে ২০১৮ সালে ৪.৮৭ নিয়ে এসএসসি এবং ২০২০ সালে ৪.২৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সক্ষম হয়েছেন।
জিহাদ হাসান বলেন, আমার দুচোখে অনেক স্বপ্ন। ভবিষ্যতে আমি লেখাপড়া শেষ করে দেশের সেবা করতে চাই। লক্ষ্য আমার বিসিএস। জীবনযুদ্ধে জয়ের পথেই এগিয়ে যেতে চাই, সাবলীলভাবেই বলছিলেন জিহাদ।
তিনি বলে চলেন, আমার জীবনযুদ্ধে বাবা-মাসহ পরিবার আমার পাশে ছিলেন। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সবসময় উৎসাহ যুগিয়েছেন। বিশেষ করে আমার ডাক্তার বড় বোন আমাকে সাহস দিয়েছেন সবসময়ই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে পেরে স্বপ্নজয়ের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারলাম। আমার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।