জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রী মেসে শনিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থীর আসবাবসহ জরুরি কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ ঘটনার পর হল চালুর দাবিতে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাংলোর সামনে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে ভিসির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
জানা যায়, শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সুফিয়া আজিজ ভিলা ছাত্রী মেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এবং খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীর আসবাবসহ সব কিছু পুড়ে যায়। বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে মেসে যান ভিসি ড. সৌমিত্র শেখর।
এদিকে শনিবার এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নবনির্মিত ছাত্রী হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা সারা দিন না খেয়ে হল খোলার দাবিতে আমরণ অনশন করতে থাকেন। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে তাঁদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুই বছরের অধিক সময় ধরে হলের কাজ শেষ হলেও এখনো শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিচ্ছে না প্রশাসন। করোনার পরে মেস মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি তাঁদের।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার জন্য সার্বিক চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোর জন্য আবেদন সংগ্রহ করেছি। যাছাই-বাছাই করে প্রাথমিক পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সিটের অর্ধেক শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করে হলের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে হলের কিছু অসমাপ্ত কাজ আছে। ইতিমধ্যে আমি দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছি। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলগুলোকে শিক্ষার্থীদের ওঠার উপযোগী করে তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’