ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ৪৯ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবেন বীর নিবাস। প্রথম পর্যায়ে ১২ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর নিবাস পাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে অন্য অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধারাও বীর নিবাস পাবেন।
আজ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের বাড়া গ্রামে সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের পক্ষে বীর নিবাস নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবুল কালাম আজাদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান সজিবসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি।
জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে তৃণমূল পর্যায়ে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী সরকার উপজেলা প্রশাসনকে যাচাই বাছাই করে অস্বচ্ছল (যাদের জমি আছে ঘর নেই) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় যাচাই বাছাই করে বিভিন্ন গ্রামের অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রেরণ করেন। সুপারিশকৃত তালিকা থেকে সরকার গফরগাঁও উপজেলার ৪৯জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের অনুমোদন দিলেও প্রথম পর্যায়ে ১২ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাস নির্মাণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও পাবেন।
প্রথম পর্যায়ে বীর নিবাস পাওয়া ১২ বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুর উদ্দিন বেপারী, বাড়া গ্রামের মো. আজিম উদ্দিন, মো. নিজাম উদ্দীন, চরমছলন্দ গ্রামের মো. আব্দুল হামিদ, রাঘাইচটি গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম, পাঁচুয়া গ্রামের একেএম সিরাজুল ইসলাম, বাইলনা গ্রামের মো. খালেক মন্ডল, মশাখালী গ্রামের আব্দুল বাতেন শেখ, দরিচাইর বাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুর রহমান, পরশী পাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন, লামকাইন গ্রামের আব্দুল জব্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ছালাম।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৬ শতাংশ জমির ওপর ৬৩৫ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণে সরকার ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল উদ্বোধন পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আমাদের নেতা সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তৃণমূল পর্যায়ে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস নির্মাণ করে দিচ্ছেন সরকার।