জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে দুটি প্রচারকেন্দ্রে পাল্টাপাল্টি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উভয় প্রার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আটটায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. বদরুল হাসানের কর্মী-সমর্থকেরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে হাজিপুর বাজার ও জোকারপাড়া এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নাজমুল হকের দুটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন গভীর রাতে বাইনবাড়ি এলাকায় নৌকার প্রার্থীর একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার আশঙ্কায় হাজিপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ভয়ে কোনো দোকানপাট খোলেননি।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নাজমুল হক বলেন, ‘শান্ত এলাকাকে অশান্ত ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই পরিকল্পিতভাবে নৌকার মিছিল থেকে আমার দুটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছি। নৌকার প্রার্থীর লোকজনই তাঁদের কেন্দ্র ভেঙে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। নৌকার কোনো প্রচারকেন্দ্র আমার লোকজন ভাঙেনি।’
নৌকার প্রার্থী মো. বদরুল হাসান বলেন, ‘ওই প্রার্থীর লোকজন আমার একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছেন। একই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছেন। বিষয়টি মৌখিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। ওই প্রার্থী নিজেই তাঁর কেন্দ্র ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষারোপ করছেন। তাঁর অভিযোগ মিথ্যা।’
এ বিষয়ে জানার জন্য জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি।
১১ নভেম্বর মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।