1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রোজা ও পূজা নিয়ে মন্তব্য: জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নে ১৯৯ কোটি টাকার প্রকল্প জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ আটক স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক, নিঃর্শত ক্ষমা চাইলেন ময়মনসিংহের সেই চিকিৎসক চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা : ইসি সানাউল্লাহ কুকুরছানা হত্যা মামলায় সেই নিশির জামিন সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের জালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল কওমি মাদরাসার সনদধারীরা এখন থেকে কাজি হতে পারবেন: আসিফ নজরুল

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, ৯ মাসের মৃত সন্তান প্রসব

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রতিপক্ষের লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর গর্ভের ৯ মাসের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাথিতে অসুস্থ হয়ে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হলে একটি মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরইমধ্যে ওই নবজাতকের ময়নাতদন্তও সম্পন্ন হয়েছে।

এ ঘটনার পর বুধবার (৫ মে) রাতে ওই গ্রামে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোসহ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের আবদুস সাত্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সাত্তার ও তার ছেলে বাবু মিয়াসহ সাত্তারের ভাই পাশের খিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, হলুদ মিয়া ও লিটন মিয়াসহ কয়েকজন ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবুল কালামের ছেলে মাইনুলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এ সময় মাইনুলের ভাই খায়রুল ইসলামের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খাদিজা আক্তারের পেটে লাথি দেন তারা। এতে মাইনুলের বাবা, মা ও স্ত্রীও আহত হন।

এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় আবদুস সাত্তারকে এক নম্বর আসামি করা হয়। তবে গত ৩ মে মামলা হলেও পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে পেটে লাথির আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা খাদিজা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার (৪ মে) সেখানে তিনি একটি মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। পরে ওই হাসপাতালেই নবজাতকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর শিশুটির মরদেহ বাড়িতে এনে ওইদিন রাতেই রাতে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে সান্দিকোনা গ্রামে এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত গ্রামের বাসিন্দারা অসহায় গৃহবধূর পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোসহ অভিযুক্ত আবদুস সাত্তার ও তার অনুসারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মে) কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘গৃহবধূর গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অভিযোগটি আগের মামলার সঙ্গে যুক্ত হবে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি