1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি কাতারের বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে মারল বিএসএফ

নেত্রকোনায় খননের অভাবে নাব্যতা হারাচ্ছে নদ-নদী

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

নেত্রকোনা জেলার ভেতর দিয়ে ৮৫টি নদ-নদী প্রবাহিত হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সেসব নদ-নদীখনন না করায় কালের আবর্তে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানির সঙ্গে আসা বালি ও পলি পড়ে বেশির ভাগ নদ-নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক নদ-নদীর বুকে এখন ধান চাষ করা হচ্ছে।

পাহাড়, নদী ও হাওর-বাঁওড় পরিবেষ্টিত জেলা নেত্রকোনা। এ জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় ৮৫টি নদ-নদী। সারা বছর এসব নদ-নদীগুলো পানিতে টইটম্বুর থাকত। পাল তোলা নৌকার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ, স্টিমার ও কার্গো জাহাজ চলাচল করত। নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়ায় এ অঞ্চলের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী নৌযানে তাদের মালামাল পরিবহন করতেন। এ ছাড়া নদীর দুই পাড়ের কৃষকরা নদী থেকে পানি সেচ দিয়ে তাদের হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন করে আসছিল। একসময়ের খরস্রোতা নদ-নদীগুলো কালের বিবর্তনে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেসব নদ-নদীতে এখন আর আগের মতো পানি প্রবাহিত হয় না। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পলি-বালি জমে বেশির ভাগ নদ-নদী এখন তাদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। নদীর বুকজুড়ে তৈরি হচ্ছে ফসলের মাঠ।

নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা জেলার ৮৫টি নদ-নদীর মধ্যে বড় বড় কংশ মগড়া সোমেশ্বরী, ধনু ও উব্দাখালী নাম বলতে পারলেও বেশির ভাগ নদীর নাব্যতা হারিয়ে যেতে বসায় তাদের নাম বলতে পারছে না। ইতিমধ্যে নেত্রকোনা থেকে হারিয়ে যেতে বসা নদ-নদীগুলো হচ্ছে, আত্রাখালী নদী, কাওনাল নদী, কাকুরিয়া নদী, কানসা নদী, কানাই নদী, কালিয়ারা নদী, কালিহর নদী, কর্ণ বালজা নদী, কালা পানি ঝরা নদী, গুনাই নদী, জলকান্দি নদী, জল শিমুলকান্দি নদী, জারিয়া নদী, তেওড়াখালী নদী, ধলাই নদী, ধোপখলা নদী, ধুপিখালী নদী, নিতাই নদী, বাউরী নদী, ছিলা নদী, তুষাই নদী, বল নদী, বলী নদী, বালই নদী, বেদুরী নদী, বানোয়ারী নদী, বারুণী নদী, বালিয়া নদী, বাঁকহারা নদী, বিষনাই নদী, বেতাই নদী, মরা সুরমা, নয়া নদী, পাতকুড়া নদী, পিয়াইন নদী, সিনাই নদী, রাজেশ্বরী নদী, ধলেশ্বরী নদী, পাটেশ্বরী নদী, ফুলেশ্বরী নদী, লাউয়ারী নদী, সুতি নদী, সুরিয়া নদী, সাইঢুলি নদী, সোনাই নদী, মরা কংস প্রভৃতি।

মোহনগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া শির্ক্ষাথী মো. পিয়াস মিয়া বলেন, এলাকার প্রবীণদের কাছে অনেক নদ-নদীর নাম শুনেছি কিন্তু বাস্তবে বেশির ভাগ নদীর প্রকৃত রূপ আমরা দেখতে পাইনি। এ অবস্থায় মোহনগঞ্জসহ জেলার নাব্যতা হারিয়ে যাওয়া সব কয়টি নদ-নদী দ্রুত খনন করে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মগড়া নদী থেকে ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের পেছন ও নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলা গ্রামের সামনে দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পাশের উপজেলা কেন্দুয়ার সাইডুলি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ ছাড়া ধলাই নদী ছত্রকোনা গ্রামের পেছন দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়নের সাহিতপুর গ্রামের পেছনের মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মহল ছত্রকোনার পেছনের অংশসহ বিভিন্ন অংশ যে যার মতো দখলে নিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরে পরে তারা সেখানে ধান চাষ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে নীরব থাকায় সচেতন মহলের ধারণা, জনগণ একদিকে নদীর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে সরকার বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারাচ্ছে।

নদীর দুই পাড়ের কৃষকরা জানান, তারা এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর ঘর গৃহস্থালির কাজ করতেন। বোরো ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার কোনো চিন্তা করতে হতো না। এখন আর জমিতে সেচ দেওয়ার মতো পানি নেই। তারা আরো জানান, এলাকার জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের দখলে থাকায় মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হয়েছে জেলেসহ সাধারণ জনগণ। দুই তীরে যাদের জমি আছে তারাই নদী দখলে নিচ্ছে। যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর ছলনায় নদী দখল করছে। কেউ কেউ সুবিধা অনুযায়ী নদী থেকে বালি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান বলেন, নদী থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। যেসব নদ-নদী খননের প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি