1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই লন্ডন-দিল্লি আর পিন্ডিতে বসে কোনো রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম শেখ হাসিনা দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেননি : সালাহউদ্দিন ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন, সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা মাগুরায় সাব-রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিসে পেট্রোল বোমা, অগ্নিকাণ্ড ভারতকে বাদে বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি স্বৈরাচার পতন দিবস আজ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব

গৌরীপুরে মুদি দোকানির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ৯ লাখ টাকা!

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হেলাল উদ্দিন নামের এক মুদি দোকানির এক মাসে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকার বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

হেলালের মতো আর অনেকেরই ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল করেছে গৌরীপুর বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন জানান, পেশায় তিনি একজন মুদি দোকানি। তার ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকা।

তিনি আরও জানান, অক্টোবর মাসেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৮ হাজার ১১৪টাকা, ইউনিট ছিল ১২ হাজার ৯৬০। এক মাস পর নভেম্বর মাসে হঠাৎ করে মিটারে রিডিং ৯৩ হাজার ৮১৪ ইউনিট উঠে যায়।

ভুক্তভোগী হেলাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করেও আমি প্রতিকার পাচ্ছি না। মিটারের এ রিডিংয়ের বিপরীতে বিদ্যুৎ বিভাগ ৯ হাজার ২৪ হাজার ৩২৭ টাকার বিদ্যুৎ বিল করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী জানান, হেলালের সাড়ে ৭ শতাংশের বাড়িভিটে আর কদমতলী বাজারের তিনটি দোকান বিক্রি করে দিলেও এ বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই। অভাবের কারণে হেলালের এক ছেলের লেখাপড়া বন্ধ, সে এখন রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসাবে কাজ করছে। এক মেয়ে স্থানীয় ইসলামাবাদ সিনিয়র মাদরাসায় পড়ে আর ছোট ছেলে রিফাত মিয়া কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের জন্য অফিসে দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে তিন বেলার খাবারও জুটছে না হেলালের।

হেলালের স্ত্রী নারগিস আক্তার জানান, বিদ্যুৎ বিলের চিন্তায় তার স্বামী রাতে ঘুমাতেও পারছেন না। দুশ্চিন্তায় শারীরিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে।

একই রকম অভিযোগ পাওয়া যায় পৌর শহরের গোলকপুর গ্রামে। এ গ্রামের মুদি দোকানি শিরিনা আক্তারেরও এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ৭৫ হাজার টাকা এসেছে।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের এ অত্যাচার থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্থানে বিচার প্রার্থী হয়েছি, ঘুরেছি, কেউ সহযোগিতা করেনি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি।

‘ভুতুড়ে’ বিল প্রসঙ্গে আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ নিরঞ্জন কুন্ড বলেন, গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মিটার পরীক্ষা করা হয়েছে। মিটার সঠিক থাকায় বিল করে দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি