1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎসচিব আগামী বছর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নেয়া হবে ৭০ শতাংশ হজযাত্রী: ধর্মমন্ত্রী ৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড গেলেন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির প্রশাসকের সাথে সহায়ক কমিটির বৈঠক বিএনপির চেয়ারপারসনের ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র উপজেলা নির্বাচন: ইউপি চেয়ারম্যানদের জন্য সুখবর রুমা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফ’র ৭ সদস্য গ্রেপ্তার থানচি, রুমা, রুয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা বিয়ের আনন্দ রূপ নিল বিষাদে, রেললাইনে ঝরল চাচা-ভাতিজির প্রাণ

দর্শনার্থীর চাপে বেসামাল সূর্যমুখী ফুল চাষি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১

নেত্রকোনায় সূর্যমুখী ফুলের আবাদকে ঘিরে জমে উঠেছে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামে আড়াই একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এবছর চাষ করা হয় সূর্যমুখী। গাছে ফুল আসতে শুরু করায় ক্ষেতে ভিড় জমাচ্ছেন তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সের লোকজন। প্রতিদিন নতুন নতুন আগন্তুকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষি।

বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের বর্গাচাষি সবুজ মিয়া। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মুর্শেদ কাঞ্চনের আড়াই একর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন সূর্যমুখী। শুরুতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেয়ায় ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। কয়েকগুণ লাভের আশা করছেন তিনি। তবে ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে আসা লোকজন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন এই চাষি।

শুধু স্থানীয় নয়, বাগানটিকে এক নজর দেখার জন্য বা একটি সেলফি তোলার জন্য প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন উৎসুক লোকজন। এমনকি বাইরের জেলা থেকেও সূর্যমুখীর বাগান দেখতে অনেকেই আসছেন ঘুরতে।

ইতোমধ্যে নেত্রকোনার ভ্রমণপিপাসু মানুষের পছন্দের স্থানে পরিণত হয়েছে এই সূর্যমুখী বাগানটি। মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশে একটু সময় কাটানোর জন্য আর হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদফতরের দেয়া তথ্যমতে, এবছর কৃষি পুনর্বাসন প্রণোদনার আওতায় উপজেলার মোট দেড়শ জন কৃষককে এক কেজি করে সূর্যমুখীর বীজ দেয়া হয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য কেজিপ্রতি ১৪০০ টাকা। এরমধ্যে ২০ জন চাষি প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। এছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা এবং সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কৃষক সবুজ মিয়া বলেন, ‘সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যা এতই বেশি যে তাদের অবাধ বিচরণে হুমকিতে পড়েছে বাগানটি। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার ছেলেমেয়েসহ নানান বয়সের লোকজন আসছেন এখানে। অনেকেই ছবি তোলার জন্য ঢুকে পড়ছেন বাগানের ভেতর। অবাধ চলাফেরায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাছ ও ফুল। কেউ কেউ জোর করে ছিঁড়ে নিচ্ছেন ফুল, আবার কেউ নিতে চান আস্ত গাছ।’

সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সোহেল রেজা বলেন, ‘আসলে একসঙ্গে এতগুলো সূর্যমুখী ফুল আগে কখনো দেখা হয়নি। তাছাড়া নেত্রকোনায় সূর্যমুখীর বাগান আগে কখনো আমি দেখিনি। তাই এখানে ছুটে আসা। আমি বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে এসেছি। একসঙ্গে এতফুল দেখে আমি অভিভূত।’

শিক্ষার্থী কামরুল হাসান, তানিয়া আক্তার ও সাবিনা বেগম জানান, তারা ময়মনসিংহে থাকেন। কিছুদিন ধরে ফেসবুকে ছবি দেখে সিদ্ধান্ত নেন সূর্যমুখীর বাগান দেখতে আসবেন। তাই বাগানটি নিজের চোখে দেখতে এসেছেন। তারা বলেন, আমরা অনেক ছবি তুলেছি। খুব ভালো লেগেছে আজকের দিনটি।

বাগানটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কৃষক মজনু মিয়া বলেন, ‘লোকজনের চাপ এত বেশি যে এখন বাগানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কয়েকজন সারাদিন এখানেই পড়ে থাকি। কারণ দর্শনার্থীরা অনেক সময় ভেতরে ঢুকে গাছ এবং ফুল দুটোই নষ্ট করে। প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষ আসে এখানে। এত মানুষ সামাল দেয়া আমার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুর রশিদ বলেন, ‘বারহাট্টা উপজেলার সিংধা গ্রামের বর্গাচাষি সবুজ মিয়াসহ স্থানীয় কৃষকরা বাম্বার ফলন পেয়েছেন সূর্যমুখী চাষে। আশা করা হচ্ছে, তিন থেকে চারগুণ লাভের মুখ দেখবেন চাষিরা। বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ ভালো হবে। আগামিতে কৃষকদের আরও বেশি করে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি