কিশোরগঞ্জে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ টাকা মূল্যমানের ৭টি তক্ষকসহ মো. খোরশেদ আলম (৩৪) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে।
বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে কিশোরগঞ্জ শহরের তারাপাশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি তক্ষক’সহ হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া পাচারকারী মো. খোরশেদ আলম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের বাদে শোলাকিয়া গ্রামের মৃত মো. নূরুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার এম শোভন খান বিএন এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত সোয়া ১২টার দিকে তারা অভিযান চালিয়ে ৭টি তক্ষকসহ পাচারকারী মো. খোরশেদ আলমকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি অবৈধ বন্যপ্রাণী বিক্রয় চক্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান হতে বন্যপ্রাণী শিকার করে অবৈধভাবে পাচারের জন্য বিক্রয় করে আসছে।
এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অবৈধ বন্যপ্রাণী বিক্রয় চক্রটির উপর র্যাবের নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষিতে বুধবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ শহরের তারাপাশা এলাকায় র্যাব অভিযান চালায়। অভিযানে ৭টি তক্ষক’সহ পাচারকারী মো. খোরশেদ আলমকে আটক করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারী মো. খোরশেদ আলম জানায়, সে তক্ষকগুলো সিলেট জেলার শায়েস্তাগঞ্জ এলাকা হতে সংগ্রহ করে বিক্রয় করে আসছিল। তক্ষকগুলোর প্রতিটি সে ২০ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করে প্রতিটি তক্ষক ৪ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করে।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।