1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন

কটিয়াদীতে শুরু হচ্ছে ৮শ’ বছরের প্রাচীন কুড়িখাই মেলা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

৮০০ বছরের প্রাচীন দেশের অন্যতম গ্রামীণ মেলা কুড়িখাই মেলা শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী)। মেলার অংশ হিসেবে গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) বিশাল তামার পাতিলে তবারক রান্না আর বাউল-ফকিরের আসরের মধ্য দিয়ে এই মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সপ্তাহব্যাপী এই মেলা চলবে আগামী রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত। এই মেলাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেছে আশেপাশের সব এলাকা।

কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার কুড়িখাই এলাকার এই মেলাটি কিশোরগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় গ্রামীণ মেলা হিসেবে পরিচিত।

কুড়িখাই এলাকায় হযরত শাহজালাল (রাহঃ) এর বংশধর হযরত শাহ সামছুদ্দীন (রাহঃ) এর মাজার এলাকায় প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ সোমবার মেলা শুরু হয়।

সপ্তাহব্যাপী মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সার্কাস, মৃত্যুকূপ, নাগরদোলা, পুতুল খেলাসহ রকমারি পসরা নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। বসে বিন্নি ধানের খই, কদমা, বাতাসা, গুড়, জিলাপির দোকান। এই মেলায় পাওয়া যায় বিশাল বিশাল মাছ, কাঠের আসবাবপত্র। পার্শ্ববর্তী কৃষি জমিসহ বিশাল চত্বরে বসে এই মেলা।

হযরত শাহ সামছুদ্দীনের পুরো নাম হযরত শাহ সামছুদ্দীন আউলিয়া সুলতানুল বোখারী (রাহঃ)। কথিত আছে, ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে বার আউলিয়ার অন্যতম শাহ সামছুদ্দীন (রাহঃ) প্রায় ৯০০ বছর আগে তার তিন সহচর শাহ কলন্দর, শাহ নাছির ও শাহ কবীরকে নিয়ে কুড়িখাই এলাকায় আস্তানা স্থাপন করেন।

তার মৃত্যুর পর এখানে মাজার গড়ে ওঠে। তার মাজারকে কেন্দ্র করে ১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ওরস ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানা যায়।

আশপাশের সমস্ত এলাকায় বছরের প্রধান উৎসব হয়ে ওঠে ৮০০ বছরের প্রাচীন কুড়িখাই মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিবারগুলো আগে থেকেই টাকা জমিয়ে রাখতে থাকে মেলায় খরচ করবে বলে।

দূরবর্তী আত্মীয়স্বজনকে মেলার বিশেষ দাওয়াত দেওয়া হয়। চারদিক থেকে এলাকার ছেলে-বুড়ো থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষের সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ লাইন থাকে মেলার দিকে।

এই মেলায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মাছের হাট। মেলায় বিশাল এলাকাজুড়ে বসে মাছের হাট। এই হাটে বোয়াল, চিতল, আইড়, রুই, কাতল, সিলভার কার্পস, পাঙ্গাস, মাগুর, বাঘাইরসহ নানা ধরণের অন্তত চার শতাধিক মাছের দোকান বসে।

মাছ বিক্রেতারা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা সুনামগঞ্জের হাওর ও নদী থেকে এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে এসব মাছ সংগ্রহ করে মেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধনাঢ্য ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের লোকজন এই মেলা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান। এছাড়া মেলায় হাজারো দর্শক আসেন মাছ দেখতে।

মেলার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে প্রতি বাড়িতে মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াতের রীতি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি