1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি কাতারের বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে মারল বিএসএফ

যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর কারাদণ্ড

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০

যাবজ্জীবনের প্রাথমিক অর্থ দণ্ডিতের বাকি জীবন হলেও দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় রেয়াতি সুবিধায় সাজা কমে ৩০ বছর হবে। তবে আদালত নির্দিষ্ট করে আমৃত্যু কারাদণ্ড বলে দিলে আসামিকে বাকি জীবন জেলেই কাটাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, প্রাথমিক অর্থে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মানে হলো- দণ্ডিত ব্যক্তি তার স্বাভাবিক জীবনের বাকি সময় কারাভোগ করবেন। দণ্ডবিধির ৪৫ এবং ৫৩ ধারার সাথে দণ্ডবিধির ৫৫, ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫(ক) মিলিয়ে পড়লে যাবজ্জীবনের সাজা কমে ৩০ বছর কারাদণ্ডের সমতুল্য হয়। তবে ট্রাইব্যুনাল অথবা ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে গঠিত ট্রাইব্যুনাল যখন কোনো আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়, তিনি কার্যবিধির ৩৫(ক) ধারার (রেয়াতি) সুবিধা পাবেন না।

এ সংক্রান্ত আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউয়ের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মুহাম্মদ মনির। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিমকোর্ট তাদের সংক্ষিপ্ত আদেশে বলেছেন (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে), যাবজ্জীবন বলতে ‘প্রাইমা ফেসি’ বোঝা যাচ্ছে যে সারাজীবনই হবে। আমৃত্যু হবে। তবে বিভিন্ন আইন, ধারা উপধারা বিশ্লেষণ করে আদালত বলছেন যে এটি (যাবজ্জীবন) ৩০ বছর। ধারাগুলো যদি বিশ্লেষণ করি, তা হলে ৩০ বছর। কিন্তু যদি কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো মামলায় কারও যদি আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন, সে ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বিধানটি হবে না। আমৃত্যু হবে।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রায়ে আপিল বিভাগ বলেছে, যাবজ্জীবন বলতে একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যতদিন ততদিন কারাদণ্ড হবে। কিন্তু আইনের বিধান অনুযায়ী একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে কমপক্ষে ৩০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আসামি আইনের অন্যান্য রেয়াত পাবে, যদি না আদালত বিশেষভাবে আদেশ দেন যে তাকে আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে।’

২০০১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জামান ইয়াসিনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যার ঘটনায় জামানের বাবা সিরাজুল ইসলাম সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ওই মামলার তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামি আতাউর ও আনোয়ার। পলাতক থাকায় আপিল করার সুযোগ পাননি কামরুল। একই সঙ্গে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আপিল খারিজ করে দিয়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আতাউর ও আনোয়ার। আপিলে ফাঁসির দণ্ড মওকুফ চাওয়া হয়। সোমবার শুনানি শেষে আসামিদের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা বিভ্রান্তিতে ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড, নাকি ৩০ বছর কারাদণ্ড হবে, নাকি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসবে, তা জানা গেল এ রায়ের মধ্য দিয়ে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তির অবসান ঘটল মনে করেন আইনজীবীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি