ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ সোমবার রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এমজেডএম ইনতেখাব চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার কবির ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
র্যাব-১১ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাঈম উল হক জানিয়েছেন, কবির ওরফে দাঁতভাঙ্গা কবিরের (৩০) বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। কিন্তু থাকতেন রাজধানীর আদাবরে থাকতেন। তার বাবা মৃত মোজাফফর।
কবির ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন উল্লেখ করে ব়্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে বক্তাবলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার দুপুরে পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ডিআর টাওয়ার ও বায়তুস সালাম জামে মসজিদের মধ্যবর্তী স্থানে শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে রোববার রাতে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
রোববার রাতে র্যাব জানায়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও তার বন্ধু মনিকাকে আটক করা হয়েছে।
ফয়সালকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই মামলায় এর আগে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৪ ডিসেম্বর ফয়সাল আরও তিনজনের সঙ্গে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে প্রবেশ করেন। সেখানে হাদির সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে ৯ ডিসেম্বর তার সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন।
ছবিতেও দেখা যায়, ফয়সাল ও আলমগীর শিল্পকলা একাডেমির কাছে হাদির সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ অনুসারে, ৪ ডিসেম্বর কবিরও ফয়সালের সঙ্গে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন।