ফেসবুকে ভিউ বাড়ানোর জন্য রামদা হাতে ভিডিও ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন এক শিক্ষক। মুহূর্তেই সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিও ডিলিট করা হয়।
এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে।
ওই শিক্ষককের নাম রাহাত হোসাইন শাকিল। তিনি গৌরীপুর পৌর শহরের রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন নিমতলী মহল্লার মৃত তোফাজ্জল হোসেন চুন্নুর ছেলে ও উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, রবিবার বিকাল রাহাত হোসাইন শাকিল নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি রামদা হাতে নিয়ে ধারণ করা ভিডিও করে পোস্ট করেন।
ধারণ করা সেই ভিডিওতে তিনি বলেন, আমারে অপমান করবা। আমার কি জানি দখল করবা। আমারে চাকরিও করতে দিতা না। আমার জীবনডা নিবা গা। সব ক্ষতিই তোমরা করবা বড় হইয়া। আর আমি তাইলে কি করতাম। চাইয়া চাইয়া দেহি। সব কিছুর মালিক তো আল্লাহ জানি। যা কিছু করবো, আল্লাহই করবো।
রোববার দুুপুরে ভিডিওটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকালে ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ভিডিওর বিষয়ে জানতে শিক্ষক রাহাত হোসাইন শাকিলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, ‘কয়েক দিন আগে উনি ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন পেয়েছেন। খুশিতে ভিউ বাড়ানোর জন্যই মজার ছলেই এই ভিডিওটা করেছিলেন। তবে সমালোচনার পরই উনি পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কেউ ভুল বুঝবেন না।’
এ বিষয়ে চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, ‘রাহাত হোসাইন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন। কেন এমন ভিডিও করলেন, তা জানা নেই।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘ শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমরা সবসময় সর্তক করে থাকি। একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কেন এ ধরনের ভিডিও করে নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আমীন পাপ্পা বলেন, ‘ রাম দা হাতে নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করার বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।