1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে, জানালেন তাজুল ইসলাম

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনকালে গুম-খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই নির্দেশ দেন।

এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

সকাল থেকে আদালত এলাকাজুড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যরা কড়া নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন। অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের একটি সবুজ রঙের প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আনা হয়।

এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দিনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল মোট ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে, তা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ সে তিনটি মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে, এসব মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ২৫ বর্তমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন।

এর আগে, বুধবার সকাল ৭টার পর এই সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

যেসব সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে. এম. আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন এবং কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)। এ ছাড়া র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলমকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্টের মাজারগেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেখানে পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি