ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। এখন পর্যন্ত তিনটি পৃথক তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পাশাপাশি আগুন লাগার কারণ তারা খতিয়ে দেখবে।
এদিকে, প্রায় সাড়ে ২৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে আমদানি কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নেভাতে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিভে আসে। কেন আগুন নেভাতে এত সময় লাগল– এর পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। সেগুলো হলো– উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য বস্তুর আধিক্য, স্টিল স্ট্রাকচারের তাপ শোষণ, অপরিষ্কার ও গাদাগাদি পরিবেশ, অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি এবং ছোট ছোট স্টিলের স্ট্রাকচার কেটে ভেতরে প্রবেশ করায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত বলে মনে করছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে নাশকতাসহ সব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা বলেন, আগুনের ঘটনা তদন্তের ক্ষেত্রে নাশকতাসহ আমরা কোনো কিছুই উড়িয়ে দেব না। যত ধরনের অভিযোগ আছে, প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। এখানে কারও কোনো ব্যত্যয় আছে কিনা, সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল সকাল থেকে আমদানিকারকের অনেকেই ঘটনাস্থলে এসে আহাজারি করেন। আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় সাময়িক সময়ের জন্য যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের এলাকা দিয়ে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। আগুনের ঘটনায় বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি করেছে।
আগুন লাগার সাড়ে ২৬ ঘণ্টা পর নেভানো সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। অবশ্য বিকেলেও কার্গো ভিলেজের কোথাও কোথাও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। কার্গোতে থাকা আমদানিকারদের পণ্য পুড়ে ছাই হয়েছে।
তিনি বলেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় আগুনের সংবাদ পাওয়ার পর পর্যাক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট অক্লান্ত পরিশ্রম করে। শনিবার রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে সম্পূর্ণ নির্বাপণ ঘোষণা করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, কার্গো ভিলেজের যে অংশে আগুন লেগেছিল, প্রতিটি জায়গাতেই খোপ খোপ করে ভাগ করা ছিল এবং ভেতরে অনেক অংশ স্টিলের তৈরি। স্টিলের স্ট্রাকচার একতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত আছে, যার জন্য আগুন নেভাতে এত সময় লেগেছে। এখানে যদি যে কোনো ধরনের আগুন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং তার সঙ্গে সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকত, তাহলে হয়তো এতটা দুর্ঘটনা ঘটত না। তদন্ত করে বের করতে হবে, আসলে কখন-কীভাবে এই আগুনটা ধরেছে।
আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের আহাজারি
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকেই পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজের সামনে এসে আহাজারি করছেন আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট-সংশ্লিষ্টরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে সাত ঘটনা সময় লাগায় নানা প্রশ্ন তোলেন তারা। তাদের অভিযোগ, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, প্রথমে আগুন ছিল খুবই ছোট। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরুর পরও কেন কার্গোর দক্ষিণ পাশ থেকে উত্তর পাশের শেষ প্রান্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ল– প্রশ্ন তাদের।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ডেলিগেটেডের কাস্টম সরকার কামাল উদ্দিন বলেন, আগুন এক মাথা থেকে আরেক মাথায় কীভাবে গেল? অবশ্যই অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ছিল। এটি ষড়যন্ত্রমূলক আগুন কিনা, তা রাষ্ট্রকে তদন্ত করে দেখতে হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাফটেক গ্রুপের সাপ্লাই বিভাগের কর্মকর্তা ফেরদৌস খান জানান, তাদের প্রায় ২০ কোটি টাকার গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ কার্গোর গুদামে ছিল। রোববার সেটি ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সব পুড়ে গেছে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পোড়া কার্গো ভিলেজের বিপরীত পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন আমদানিকারক আবদুল্লাহ আল হাফিজ। অন্য প্রান্তের ব্যক্তিকে তিনি বলেছিলেন, আগুনে তাঁর সব শেষ হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ কথা বলার পরই তাঁর চোখ ভিজে যায়। পরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। চোখ মুছতে মুছতে তিনি সমকালকে জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম শাকিল ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড আলভী গ্লোবাল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। উত্তরায় অফিস। শনিবার সকালে চীন থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিকস ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাক্সেসরিজ আসে কার্গোতে– সব পুড়ে গেছে।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এমএইচের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের ৭৯ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য ছিল কার্গোতে। তাদের ফেব্রিক্স ও অ্যাক্সেসরিজের ১৩টি শিপমেন্ট ছিল কুরিয়ার গোডাউনে এবং ১২টি ছিল অন্য গোডাউনে।
আরএস ইন্টারন্যাশনাল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিক রঞ্জন বৈষ্ণবের অভিযোগ, যেভাবে আগুন ধরেছে, তাতে সবকিছু পোড়ার কথা নয়। আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসা এমজি মোস্তফা অ্যান্ড কোম্পানির ৩০ লাখ টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে। আমদানি করা এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে এয়ার ফিল্ডার (যা রেলওয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়)।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে সিভিল অ্যাভিয়েশনের ফায়ার ইউনিট আছে। কিন্তু কেন তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি? এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে প্রথমেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
আন্তর্জাতিকভাবে শতভাগ কার্গো নিরাপত্তার স্বীকৃতি পাওয়ার মাত্র ছয় দিন পরই আগুন লাগল আমদানি কার্গো ভিলেজে। ঘটনাটি ঘটল এমন সময়ে, যখন মাত্র এক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্টের (ডিএফটি) নিরাপত্তা মূল্যায়নে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে।
কার্গো ভিলেজের আগুনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা বেশ কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এসব সরঞ্জাম গতকাল কার্গো ভিলেজ থেকে খালাস হওয়ার কথা ছিল। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আনা হয়। বিমানবন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে সিঅ্যান্ডএফের কাজ করা মমতা ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাস্টমস সরকার বিপ্লব হোসাইন জানান, ছয় দিন আগে রাশিয়া থেকে সাতটি শিপমেন্টের মাধ্যমে ১৮ টনের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এসেছিল।
ক্ষতির পরিমাণ খাতভিত্তিক নির্দিষ্ট করার চেষ্টা
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, আমদানি করা যত পণ্য ছিল, সব আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কত, সেটি আমরা খাতভিত্তিক নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছি। ক্যাটালগিং কমিটি করা হয়েছে, যারা আগুনের পূর্ববর্তী ও বর্তমান অবস্থাসহ পুরো ঘটনার ক্যাটালগিং করবে। পরে গোয়েন্দা সংস্থাসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব তদন্ত সংস্থার সবাইকে একত্র করে এই রহস্য উদ্ঘাটন করব।
ফায়ার সার্ভিসকে দীর্ঘক্ষণ ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে আটকে রাখা হয়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার অভিযোগটি সঠিক নয়। বিমানবন্দর কেপিআই এলাকা। এখানে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা আছে। আগুন লাগার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
উপদেষ্টা বলেন, এখন যেসব পণ্য আসছে, কার্গো থেকে এসব পণ্য সরবরাহে যাতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আগামী সাত দিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করা হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ কী আছে এবং আমাদের বিমানবন্দরের ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ কী আছে– সবকিছু আমলে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হব।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে সরকার নির্দেশনা জারি করেছে। আগামী তিন দিন যেসব নন-শিডিউল অতিরিক্ত ফ্লাইট আসবে ও যাবে, সেগুলোর সব ধরনের খরচ মওকুফ করা হয়েছে।
বিকল্প উপায়ে পণ্য খালাস
আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় সাময়িক সময়ের জন্য যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের এলাকা দিয়ে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস। পণ্যের কায়িক পরীক্ষা ও শুল্কায়নের জন্য ৯ নম্বর ফটকে ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড অটোমেশন সিস্টেমেরও’ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ দপ্তর বলেছে, আপাতত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের স্থান দিয়ে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া চালু করেছে ঢাকা কাস্টম হাউস।
‘কার্গো ভিলেজের আগুন পরিকল্পিত’
কার্গো ভিলেজের আগুন পরিকল্পিত বলে মনে করছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এটি কেবল দুর্ঘটনা নয়, বরং দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রপ্তানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতি করে জাতীয় অর্থনীতিকে অচলের নীলনকশার অংশ হতে পারে। রোববার সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ও অগ্নিনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকায়ন নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে। বাকি দাবিগুলোর মধ্যে আছে– ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের পদক্ষেপ নেওয়া এবং জরুরি ভিত্তিতে আমদানি পণ্যের নির্মাণাধীন গুদাম অস্থায়ীভাবে চালু করা।
পোশাক তৈরির কাঁচামাল ধ্বংস
অগ্নিকাণ্ডে পোশাক তৈরির কাঁচামাল, অ্যাক্সেসরিজ এবং গুরুত্বপূর্ণ নমুনা পণ্য ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান। গতকাল দুপুরে তাঁর নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধি দল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করে। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ধ্বংস হওয়া পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনেক স্যাম্পল ছিল। এই স্যাম্পল সরাসরি নতুন ব্যবসার পথ উন্মোচন করে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। এগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়া।
ইনামুল হক বলেন, সাধারণত হাই ভ্যালুড পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথ ব্যবহার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে গেছে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সেই হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
বিজিএমইএ মনে করে, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে বিজিএমইএ থেকে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজিএমইএর প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। শিল্পের আমদানি করা কাঁচামাল ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপাতত আমদানীকৃত কাঁচামালগুলো কার্গো ভিলেজের ৩ নম্বর ভবনে রাখা হবে।