খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে সদর থানায় এবং দুটি গুইমারা থানায়। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা অন্তত এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা।
সদর থানায় দায়ের করা মামলায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, ভাঙচুর, দাঙ্গা সৃষ্টি এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ছয় থেকে সাত শ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন সদর থানার এসআই মো. শাহরিয়ার।
গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘গুইমারা থানায় সহিংসতায় প্রাণহানি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে গুইমারায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে গত বুধবার (১ অক্টোবর) আদালতে হাজির করা হলে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) খাগড়াছড়িতে সাপ্তাহিক হাটের দিনে পাহাড়ি ও বাঙালি জনসাধারণ স্বাভাবিকভাবে বাজারে আসতে শুরু করেছে। জেলার প্রধান সড়কগুলোতে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং দোকানপাটও খোলা রয়েছে। পরিস্থিতিও অনেকটাই শান্ত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয়ভাবে অবরোধ আহ্বান করা হয়। ওই অবরোধ চলাকালে ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) খাগড়াছড়ি সদর এবং ২৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে।
গুইমারার ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। আগুন দেওয়া হয় রামসু বাজার, বহু বসতবাড়ি ও একাধিক সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে।