1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মতি কাতারের

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদ্রাসার সব খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আমতলী উপজেলার ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব খাবার খেয়ে এবং নষ্ট করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর নিন্দার ঝড় উঠেছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি ৪ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয়। আমতলী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. ফজলুল হককে কমিটির সভাপতি করা হয়। কমিটির প্রথম সভা গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। সভা উপলক্ষে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৫০ জন আমন্ত্রিত অতিথির জন্য ওই দিন দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন। কিন্তু মাদ্রাসার সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন গুলিশাখালী ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী এবং সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী এসে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে তাঁরা শিক্ষকদের গালাগাল করেন এবং অতিথিদের জন্য রান্না করা সব খাবার খেয়ে ফেলেন। অবশিষ্ট খাবারে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট এবং নোংরা পানি ফেলে তাঁরা খাবার নষ্ট করে দিয়েছেন। এরপর তাঁরা শিক্ষক-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান।

এই ঘটনার পর রিপন কাজী তাঁর ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি।’ বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। স্থানীয়রা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী খাবার খাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে এবং আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা খাবার খেয়েছি, তবে কোনো খাবার নষ্ট করিনি।’

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি