জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রায়েরবাজার গণকবরে দাফন হওয়া নিহতদের মরদেহগুলো শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবার চাইলে মরদেহগুলো গ্রামে নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর পরিদর্শন গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রায়েরবাজার গণকবরে ১১৪ জনের কবর দেয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যাদের কবর দেয়া হয়েছে তাদের পরিবার চাইলে ডিএনএ টেস্ট করা হবে। শনাক্ত হওয়ার পর চাইলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তারা নিজেদের ইচ্ছামতো জায়গায় নিয়ে দাফন করতে পারবে।
যারা গণকবর দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিবার চাইলে কবর থেকে তুলে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তও করা হবে। নিহতদের গণকবর পরিদর্শন শেষে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
এর আগে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনের পর উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও যদি তারা কোনো অপকর্মে লিপ্ত হতে চায়, তাহলে কোনভাবেই ছাড় পাবে না। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকলে, তাদের ক্ষেত্রেও একই বন্দোবস্ত প্রযোজ্য হবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
পাঁচ আগস্ট ঘিরে দেশে কোনো শঙ্কা রয়েছে কি না— গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আল্লাহ চাইলে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। সবাই যেভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাতে কোনো শঙ্কার কারণ দেখছি না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের গণকবরের ইটগুলোও ভালো দেওয়া হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করে তা প্রচার করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) সবচেয়ে বেশি বলবেন দুর্নীতির বিপক্ষে। আমাদের দেশে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি না কমালে কিছুই ঠিক হবে না। বিচার প্রক্রিয়া তো চলছে। আমার একটা অনুরোধ, দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কবরের ইটগুলো ভালো দিচ্ছে না। এগুলো আপনারা একটু প্রচার করবেন।