1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি, নতুন ব্যাখ্যায় মৃত্যু ৩৪ জন

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে শুরু থেকেই কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) থেকে প্রকাশিত একাধিক তালিকায় দেখা যায়, ২৪ জুলাইয়ের তালিকায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫, অথচ ২৭ জুলাই তারিখে প্রকাশিত হালনাগাদ তালিকায় সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪-তে। এ নিয়ে দুর্ঘটনাটিতে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ জনে।

এদিকে মৃত শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হলেও, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে মৃতদের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পেরেছে সিআইডি। প্রাথমিকভাবে ১৫টি বডিব্যাগ উদ্ধার হলেও, ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর জানা গেছে- সবগুলো আলাদা মৃতদেহ নয়।

রোববার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলে সেটি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে। এরপর পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ফরেনসিক তদন্তের ভিত্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

সিএমএইচ সূত্র জানায়, ২১ জুলাই দুর্ঘটনার পর মর্চুয়ারিতে মোট ১৫টি বডিব্যাগ গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তুরাগ থানা পুলিশ এগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদনে ১১টি সম্পূর্ণ মৃতদেহ, ২টি অপূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ এবং ৫টি বিচ্ছিন্ন দেহাংশ শনাক্ত করে। এর মধ্যে ৯টি মৃতদেহ স্বজনরা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারায়, ৮টি ২১ জুলাই এবং ১টি ২২ জুলাই হস্তান্তর করা হয়।

অবশিষ্ট ২টি মৃতদেহ, ২টি অপূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ এবং ৫টি দেহাংশ নিয়ে শুরু হয় ফরেনসিক বিশ্লেষণ। ২২ জুলাই, সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল ও সিএমএইচ থেকে মোট ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে নেয় ১১টি রেফারেন্স নমুনা। বিশ্লেষণ শেষে জানা যায়, যে বডিব্যাগটিতে ৫টি বিচ্ছিন্ন দেহাংশ ছিল, সেগুলো দুইজন শিক্ষার্থী- লামিয়া আক্তার সোনিয়া ও আফসানা আক্তার প্রিয়ার দেহের অংশবিশেষ। ফলে সেগুলো পৃথক পাঁচজন নয়, বরং দুটি মৃতদেহ হিসেবেই গণ্য হয়।

এই ফলাফলের ভিত্তিতে সিএমএইচে সংরক্ষিত মৃতদেহের প্রকৃত সংখ্যা দাঁড়ায় ৫। এদের সঙ্গে আগেই হস্তান্তর হওয়া ৯টি মৃতদেহ মিলিয়ে চূড়ান্ত সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪, যা ২৭ জুলাইয়ের হালনাগাদ তালিকায় প্রতিফলিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর এক চিঠির মাধ্যমে এই সংশোধিত তথ্য নিশ্চিত করে।

এদিকে সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১২ জন ভুক্তভোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৮ জন আহত হয়ে ভর্তি ছিলেন এবং ৩৪ জন মারা গেছেন।

বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত ও আহতদের সংখ্যা নিম্নরূপ

• জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট : ৬৬ জন ভর্তি, ১৭ জন মৃত্যু

• সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) : ১১ জন ভর্তি, ১৪ জন মৃত্যু

• ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : ১ জন ভর্তি

• টঙ্গী জেনারেল হাসপাতাল : ১ জন মৃত্যু (অজ্ঞাত)

• ইউনাইটেড হাসপাতাল : ১ জন মৃত্যু

• জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : ১ জন মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুরুতে প্রাপ্ত দেহাবশেষগুলো আলাদাভাবে মৃতদেহ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কিছু অংশ একই ব্যক্তির। এতে মৃতের সংখ্যায় পার্থক্য এসেছে।

প্রসঙ্গত, বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা, দেহাবশেষের অপ্রতুলতা এবং স্বজনদের মানসিক পরিস্থিতি- সবমিলিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিরূপণে সময় লেগেছে। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, দুর্ঘটনায় মোট ৩৪ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে সিএমএইচে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১৪।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি