1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব নোয়াখালীতে এক হাজারের বেশি শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ চিড়িয়াখানায় খাঁচার বাইরে সিংহ, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল জোবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কে’র দায়িত্ব পেলেন শহীদ গণহারে বদলি আদেশের পর শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যা : জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সপ্তাহে তিনদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে চলবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট

‘৫০ হাজার টাকা দাও, বিষয়টা আমি দেখছি’, জামায়াত নেতার অডিও ফাঁস

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

কুড়িগ্রামে মামলা থেকে রক্ষা করার নামে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড কালবেলা প্রতিনিধির হাতে এসেছে।

অভিযুক্ত জামায়াত নেতার নাম আনিসুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজিবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাবু মিয়া জানান, ২০১৩ সালে রাজিবপুরে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে জামায়াত নেতার নাম আনিসুর।

অভিযোগে তিনি বলেন, জামায়াত নেতা আনিসুর রহমান নিজেকে থানা অফিসারের (ওসি) ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে তাকে ভয় দেখান এবং মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা চান।

অডিও ক্লিপে আনিসুর রহমানকে বলতে শোনা যায়, ‘বাবু শোনো, তোমার বিষয়ে আমাকে ফোন দিয়েছিল অফিসার। আমি বলছি, ও আমার ছোট ভাই, বিষয়টা আমি দেখব। তুমি আমার সাথে জরুরি দেখা করো… তোমার যদি একটা পশমের ক্ষতি হয়, আমি রাজিবপুরে দ্বিতীয় দিন মুখ দেখাব না।’

এরপর আরও বলা হয়, ‘তুমি আমার মোটরসাইকেলে ঘুরবা। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই ইনশাআল্লাহ। তুমি ফ্রি থাকো। আলহামদুলিল্লাহ বলে দুই গ্লাস পানি খাও। তোমার ভাই আছে তোমার পাশে।’

ব্যবসায়ী বাবু মিয়া বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। দীর্ঘদিন ধরে রাজিবপুর বাজারে পার্টসের ব্যবসা করি। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

অভিযোগের বিষয়ে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি তার কাছে কোনো টাকা চাইনি। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অডিওটি এডিট করা।’

২০১৩ সালের ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তখন সে মামলার আসামি হতে পারে না, কারণ ওই সময় তার বয়সই হয়নি। মামলা হয়েছে অনেক পরে।’

কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল মতিন ফারুকী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ‘আমি থানায় নতুন যোগদান করেছি। আমার সময়ে এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার দাবি করেছেন। বিষয়টি এখন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক উভয় মহলের নজরে রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি