1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই লন্ডন-দিল্লি আর পিন্ডিতে বসে কোনো রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম শেখ হাসিনা দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেননি : সালাহউদ্দিন ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন, সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা মাগুরায় সাব-রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিসে পেট্রোল বোমা, অগ্নিকাণ্ড ভারতকে বাদে বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি স্বৈরাচার পতন দিবস আজ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব

আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন হাসিনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫

জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশন বলেছে, ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের অডিও যাচাই করেছে তারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানেই ওদের (বিক্ষোভকারী) পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।’ বুধবার (৯ জুলাই) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

ফাঁস হওয়া ওই অডিও অনুযায়ী, শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন। তিনি বলেন, তারা (বাহিনীর সদস্যরা) যেখানে আন্দোলনকারীদের পাবে, সেখানে গুলি করতে পারবে। সরকারি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এই কথোপকথনের অডিওটিকে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে শেখ হাসিনাকে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে শোনা যায়।

বিবিসিকে একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ওই ফোনালাপটি করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে অডিওটি ফাঁস হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে নিশ্চিত করেছে যে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ে শোনা যাওয়া কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার কণ্ঠের সঙ্গে মিলে যায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি স্বাধীন ফরেনসিক বিশ্লেষক দল ইয়ারশটের ওই অডিও আলাদাভাবে পরীক্ষা করে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বিশ্লেষণে কোনো ধরনের সম্পাদনা, বিকৃতি কিংবা কৃত্রিমভাবে তৈরি করার প্রমাণ মেলেনি। তাদের মতে, এটি জেনুইন ও অখণ্ড রেকর্ডিং।

মানবাধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে অডিও বিশ্লেষণমূলক তদন্ত পরিচালনাকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ারশট’ জানিয়েছে, ফোনকলটি স্পিকারে বাজানো হয়েছিল; এমনকি একটি ঘরে এ রেকর্ডিংটি ধারণ করা হয়েছিল। কারণ এতে স্বতন্ত্র টেলিফোনিক ফ্রিকোয়েন্সি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু শব্দ ছিল।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা রেকর্ডিংজুড়ে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি (ENF) শনাক্ত করেছেন, যা প্রমাণ করে যে, অডিওতে কোনো ধরনের হেরফের বা সম্পাদনা করা হয়নি। বিশ্লেষণে শেখ হাসিনার বক্তব্যে ছন্দ, স্বর ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন খতিয়ে দেখা হয়েছে। একই সঙ্গে ধারাবাহিক নয়েজের স্তরও বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে কোনো কৃত্রিম পরিবর্তনের প্রমাণ মেলেনি।

ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বলেন, এসব রেকর্ডিং শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রমাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অডিওগুলো যথার্থভাবে যাচাই করা হয়েছে এবং অন্যান্য প্রমাণের সঙ্গেও তা সামঞ্জস্যপূর্ণ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি