1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

ইরান ও ইসরায়েল সামরিক শক্তিতে এগিয়ে কে?

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী উত্তেজনা ক্রমেই চরমে পৌঁছাচ্ছে। শুক্রবার ভোররাতে ইরানে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান নিয়ে তারা ইরানে শতাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসিতে) শীর্ষ তিন কমান্ডার নিহত হন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

নিহত কমান্ডাররা হলেন- ইরানি সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসিতে কমান্ডার হোসেইন সালামি এবং খাতাম আল-আনবিয়া ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ।

ইরান ও ইসরায়েল এর আগে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর ও ২৫ অক্টোবর পরস্পরকে হামলা চালিয়েছে। ২ অক্টোবর গাজা ও লেবাননে হামলায় বেসামরিক ও সেনাপ্রধানদের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে ইরান অন্তত ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অপর দিকে ২৫ অক্টোবর জবাব হিসেবে ২০টি স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল।

সেনাবাহিনী ও সমর সরঞ্জামে কে এগিয়ে?

সেনাসদস্য

ইরানে রয়েছে ৬ লাখ ১০ হাজার সক্রিয় ও ৩ লাখ ৫০ হাজার রিজার্ভ সেনা। অপর দিকে, ইসরায়েলের রয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ সক্রিয় ও ৪ লাখ ৬৫ হাজার রিজার্ভ সেনা।

সমরাস্ত্র ও ট্যাংক ইরানে রয়েছে ১০ হাজার ৫১৩টি ট্যাংক ও ৬ হাজার ৭৯৮টি গান, অপরদিকে ইসরায়েলের রয়েছে ৪০০টি ট্যাংক ও ৫৩০টি গান।

বিমান ও নৌবাহিনী

ইরানে রয়েছে ৩১২টি যুদ্ধোপযোগী বিমান ও ১৭টি ট্যাকটিক্যাল সাবমেরিন, অপর দিকে ইসরায়েলের রয়েছে ৩৪৫টি যুদ্ধবিমান ও ৫টি সাবমেরিন।

বিমান প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র

ইরানে রয়েছে আজারাখশ ও বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থার মতো একাধিক বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও স্বল্প ও মধ্যপাল্লার অ্যান্টিব্যালিস্টিক অস্ত্র। অপরদিকে, ইসরায়েল নির্ভর করে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং ও অ্যারো ব্যবস্থার ওপর, যা স্বল্প, মধ্য ও দূরপাল্লার হামলা মোকাবিলায় সক্ষম।

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

ইরানের কাছে বিভিন্ন পাল্লার অন্তত ১২ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটির পাল্লা ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। অপরদিকে ইসরাইলের কাছে চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে ‘জেরিকো-৩’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪,৮০০ থেকে ৬,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

পারমাণবিক ক্ষমতা

ইসরাইলের প্রায় ৯০টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অপরদিকে ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, তবে একটি উন্নত পারমাণবিক কর্মসূচি রয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যদিও সম্প্রতি তারা তাদের পারমাণবিক নীতি পুনর্বিবেচনার হুমকি দিয়েছে।

সামরিক ব্যয় ও বিনিয়োগ

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তিতে গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইরান সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অপর দিকে ইসরায়েল ব্যয় করেছে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালের চাইতে ২৪ শতাংশ বেশি।

সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েল দুটোই আঞ্চলিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। যে কারো সাথে কারো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও ভয়াবহ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংখ্যাগত দিক ও সম্পদে এগিয়ে রয়েছে ইরান, অপরদিকে আধুনিক সমরাস্ত্র ও প্রযুক্তিতে অনেক অগ্রবর্তী ও সুসজ্জিত ইসরায়েল।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি