মায়ের মৃত্যুতে চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক ফারজানা রূপা। সেইসঙ্গে তার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদকেও একই সময়ের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা কারাগার থেকে বের হন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত–উল ফরহাদ বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে শাকিল আহমেদ এবং ফারজানা রূপা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে বের হওয়ার কথা থাকলেও তারা দেরিতে কারাগার থেকে বের হন। এরপর তাদের বিশেষ সতর্কতায় ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে তাদের আবারও কারাগারে ফিরিয়ে আনা হবে।

সাংবাদিক ফারজানা রুপা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের দাফন-কাফনে অংশ নেন এবং শেষবারের মতো মায়ের লাশ দেখেন। এ সময় ফারজানা রুপার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমদও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে একইসঙ্গে দাফন-কাফনে অংশ নেন এবং শেষবারের মতো শাশুড়ির লাশ দেখেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সাংবাদিক দম্পতি পুলিশ পাহারায় ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া দাঁড়িয়াকান্দা গ্রামের বাড়িতে এসে মায়ের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেন।
এ সময় ফারজানা রুপার হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো না থাকলেও শাকিল আহমদের এক হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো ছিল। মায়ের দাফন-কাফন শেষে বুধবার রাতেই তাদেরকে পুনরায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাংবাদিক ফারজানা রুপার মা ও শাকিল আহমদের শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর সেহরা ধোপাখলা এলাকার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক পুত্র ও পাঁচ কন্যা রেখে গেছেন।
বুধবার বাদ আছর ঘাগড়া দাঁড়িয়াকান্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া সাংবাদিক দম্পতি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমদের জন্য অপেক্ষা করা হয়। রাত পৌনে নয়টার দিকে তারা মায়ের লাশ দেখার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জুলাই–আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় গত ২১ আগস্ট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাকিল একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং রূপা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ছিলেন।