1. [email protected] : admin : Najmush Shakeer
  2. [email protected] : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন

গাজার হাটে একটি গরু একটি উট আর কয়েকটি ভেড়া, কেনার ক্ষমতা নেই কারও

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের মতো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আজ শুক্রবার (৬ জুন) উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধ ও দখলদার ইসরায়েলের অবরোধ আরোপের কারণে গাজাবাসীর মধ্যে নেই ঈদ।

ঈদুল আজহার প্রধান অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। মুসলিমরা এদিন সাধারণত ভেড়া, ছাগল ও গরু কোরবানি দিয়ে থাকেন। যার কিছু অংশ গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন তারা। এরপর কোরবানির পশুর মাংস ও মিষ্টিসহ অন্যান্য কিছু নিয়ে পরিবারের সবাই আনন্দ করেন।

তবে যুদ্ধের কারণে এর কিছুই করতে পারছেন না গাজার মানুষ। গত তিন মাসে সেখানে কোনো তাজা মাংস প্রবেশ করেনি। গাজায় যেসব ভেড়া, গরু এবং ছাগল লালন পালন করা হয়েছিল। সেগুলোর বেশিরভাগও যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এপি শুক্রবার জানিয়েছে, গাজায় এখনো যেসব পশু জীবিত আছে সেগুলো নিয়ে দক্ষিণ গাজার উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিতে বসেছিল হাট। কিন্তু সেখান থেকে কারও কোনো পশু কেনার সামর্থ নেই।

এই হাটে উঠেছে একটি গরু একটি উট, কিছু ভেড়া আর ছাগল। এগুলো দেখতে কিছু মানুষ জড়ো হয়েছেন। শিশুরা পশুগুলো দেখে আনন্দ করছে। কিন্তু কেউ কিছু কিনতে পারছেন না।

আব্দেল রহমান মাদি নামে এক বাবা বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছেন, “আমার এমনকি রুটি কেনার সামর্থও নেই। কোনো মাংস, সবজি কেনার সামর্থ নেই।”

খান ইউনিস শহরের কিছু দোকানে শিশুদের খেলনা এবং অন্যান্য জিনিস উঠেছে। সঙ্গে আছে কিছু পুরোনো কাপড়ও। যারা কেনার জন্য দামদর জিজ্ঞেষ করছেন; তারা দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন।

সেখানকার হালা আবু নাকিরা নামে এক নারী এপিকে বলেছেন, “আগে ঈদ ছিল একটি উৎসব। শিশুরা থাকত আনন্দে। কিন্তু এখন ইসরায়েলের অবরোধের কারণে, এখানে কোনো আটা নেই, কোনো কাপড় নেই, কোনো আনন্দ নেই।” তিনি বলেন, “আমরা বাজারে যাই শুধুমাত্র আমাদের শিশুদের জন্য আটা কিনতে। আমরা প্রতিদিনে কমদামে আটা খুঁজতে বের হই। কিন্তু আমাদের আটা কিনতে হয় অবিশ্বাস্য দামে।”

সূত্র: এপি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি