1. [email protected] : admin : Najmush Shakeer
  2. [email protected] : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন

২০ বছর সাধনার পর বাদশাহর মেহমান হয়ে কাবায় এক বৃদ্ধ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

ইসলাম গ্রহণ করেছেন ২০ বছর আগে। তখন থেকে পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফের স্বপ্ন লালন করতেন। আল্লাহর কাছে হজের সুযোগ চেয়ে কান্নায় চোখ ভেজাতেন। কিন্তু কিছুতেই সামর্থ্য কুলাচ্ছিল না। এভাবে বছর গড়িয়ে বয়স ৭০ এর কোঠায় পৌঁছায়।

বৃদ্ধ ভেবেছিলেন তার ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে যাবে। কিন্তু এ বছর তিনি হজ পালন করছেন। তাও দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবকের মেহমান হয়ে।

লুইস আবি রশিদ নামের সেই তীর্থযাত্রীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে আরব নিউজ। উরুগুয়ের ৭০ বছর বয়সী এ বৃদ্ধ ‘দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক কর্মসূচির হজ ও ওমরাহর অতিথি’ প্রোগ্রামের আওতায় হজের সুযোগ পেয়েছেন। সৌদি যাত্রাই তার প্রথম বিমান ভ্রমণ।

ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক তত্ত্বাবধান ও বাস্তবায়িত এই কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হওয়া রশিদ এই যাত্রাকে শান্তি ও আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতায় ভরা একটি যাত্রা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ পালনের তার জীবনের দীর্ঘদিনের ইচ্ছার বাস্তবায়নকে তিনি যেন এখনও স্বপ্ন ভাবছেন।

তিনি বলেন, আমি পবিত্র ভূমিতে অবর্ণনীয় অনুভূতি নিয়ে পৌঁছাই। আমি হজ পালন করতে এবং পবিত্র কাবা শরিফ প্রথমবারের মতো দেখতে যাচ্ছিলাম, যা আগে শুধু টেলিভিশনে দেখেছিলাম। আমার হৃদয় এই পবিত্র স্থানের জন্য আকুলতায় ভরে উঠেছিল। হজ একটি স্বপ্ন, বিশেষ করে নতুন মুসলিমদের জন্য।

রশিদ বলেন, যখন আমি এই কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হই, তখন আমি অবর্ণনীয় আনন্দ অনুভব করি। সব প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং তারপর সৌদি আরবের নেতৃত্বের জন্য। যারা আমার এবং বিশ্বজুড়ে অনেক মুসলিমের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

তিনি জানান, তার ইসলামের পথে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০ বছর আগে। একজন মুসলিম বন্ধু তাকে তিন মাস ধরে ইসলামের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন।

সেই সময়ে তিনি পবিত্র কোরআন এবং নামাজের প্রথা সম্পর্কে জানেন। শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হন যে, ইসলামই সত্য ধর্ম। ইসলাম গ্রহণের পর থেকে তিনি তার ঈমান ও বোঝাপড়াকে আরও গভীর করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে হজ পালন ও পবিত্র কাবা শরিফ দেখার স্বপ্ন দেখে আসছেন।

রশিদ বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করি। অথচ কখনো আশা করিনি আমি এই ধর্মে আসব। কারণ আমি এটি কখনো বিবেচনা করিনি।

তিনি বলেন, কিন্তু আল্লাহতায়ালা আমাকে পথ দেখিয়েছেন এবং আমাকে অন্ধকার থেকে আধ্যাত্মিক স্পষ্টতার দিকে নিয়ে এসেছেন। আমি এমন এক শান্তি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অনুভব করেছি. যা আমি আগে কখনো জানতাম না। ইসলাম হলো ভারসাম্য, মধ্যপন্থা এবং প্রশান্তির ধর্ম- অতিরিক্ত, চরমপন্থা বা কঠোরতা থেকে মুক্ত। সব প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি আমাকে পথ দেখিয়েছেন এবং মুসলিমদের একজন করেছেন।

তিনি বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ইসলাম ও মুসলিমদের সেবায় তাদের প্রচেষ্টার জন্য এবং সৌদি আরবের ক্রমাগত উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি