1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

হেলিকপ্টারে পুলিশ সদর দপ্তর ছেড়েছিলেন সাবেক আইজিপি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

গণ-অভ্যুত্থানের সময় প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। গত বছরের ৫ আগস্ট তিনিসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা হেলিকপ্টারযোগে পুলিশ সদর দপ্তর ছেড়েছিলেন বলে তথ্য মিলেছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি র‌্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার করেননি। তাঁর আপত্তির মুখে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে এলাকায় গিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছিলেন।

তাঁর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্টে থাকা এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দোলন আগস্ট মাসের শুরুতে ব্যাপক গতি পায়। আর এ সময় গুলি করে আন্দোলন দমানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময়ের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পৌঁছে দিতে হয় মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কাছে।

সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সব বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা প্রধানদের ডাকেন। তাঁদের কাছে জানতে চান আন্দোলনের অবস্থা। এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ব্রিফ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য ধরে শুনছিলেন, তবে তিনি যে সন্তুষ্ট হচ্ছিলেন না তা তাঁর মুখাবয়বে স্পষ্ট ছিল।

সভায় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও। এনএসআই মহাপরিচালক শেখ হাসিনাকে জানাচ্ছিলেন, সব কিছু অন্ডার কন্ট্রোল। তখন শেখ হাসিনা প্রশ্ন ছোড়েন, তাহলে ঢাকায় এত মানুষ প্রবেশ করল কী করে? এই প্রশ্নের যথাযথ জবাব পাননি শেখ হাসিনা। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা চেয়ার থেকে উঠে যান। যাওয়ার সময় নির্দেশ দেন নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার।

সেখান থেকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন গাড়িতে করে তাঁর সরকারি বাসভবনে পৌঁছেন। ফোনে সারা দেশের চিত্র জানার চেষ্টা করেন। পরদিন ৫ আগস্ট সকালে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে পৌঁছেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভাজন দেখা যায়। আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তারা একসঙ্গে বসে পরামর্শ করেন। অন্য কর্মকর্তারা আলাদা বসে আলোচনা করতে থাকেন। এর মধ্যে তাঁরা খবর পান, শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করছেন।

বিভিন্ন স্থান থেকে খবর আসতে থাকে, পুলিশের ওপর হামলা হচ্ছে। এর মধ্যে দুপুরে কিছু লোক পুলিশ সদর দপ্তরের গেটের সামনে মারমুখী হয়ে অবস্থান নেয়। তখন বিএনপিপন্থী পুলিশ কর্মকর্তারা নিচে নেমে এসে তাদের নিবৃত্ত করেন। আর আইজিপি সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। প্রথমে র‌্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। এতে আইজিপি জানান, র‌্যাবের হেলিকপ্টারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে। এটা দিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে। পরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয় তাঁদের নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য। হেলিকপ্টারটি পুলিশ সদর দপ্তরের একটি ভবনের ওপর অবতরণ করে। হেলিকপ্টারটিতে বসেন আইজপি চৌধুরী আবদুল্লাহ, এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামসহ তিনজন। তাঁদের নিয়ে হেলিকপ্টারটি তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে নেমে তাঁরা গাড়িতে করে ক্যান্টনমেন্টে যান। পরে তাঁদের একটি ভবনে থাকতে দেওয়া হয়। ভবনটিতে ছিলেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলামসহ আরো দুজন।

গত বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সেনানিবাসের ভেতরে প্রাণ রক্ষায় আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে জানানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি