1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই লন্ডন-দিল্লি আর পিন্ডিতে বসে কোনো রাজনীতি চলবে না: সাদিক কায়েম শেখ হাসিনা দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেননি : সালাহউদ্দিন ভারতে হাসিনার অবস্থান নিয়ে জয়শঙ্কর বললেন, সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট’ ঘোষণা মাগুরায় সাব-রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিসে পেট্রোল বোমা, অগ্নিকাণ্ড ভারতকে বাদে বাংলাদেশ-চীনসহ কয়েকটি দেশ নিয়ে আলাদা জোট করতে চায় পাকিস্তান পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি স্বৈরাচার পতন দিবস আজ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব

কারাগারে দুর্ব্যবহারের কারণে সাবেক মন্ত্রী-এমপির শাস্তি

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

আওয়ামী লীগ আমলে সাধন চন্দ্র মজুমদার পর পর দুই মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন নওগাঁ জেলার অঘোষিত রাজা।

নিজ দলের নেতৃত্ব গঠনসহ সরকারি নির্মাণকাজ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবস্থাপনা, খাসজমি ও জমি দখল, বিচার-সালিস—সবখানেই ছড়ি ঘোরাতেন তিনি। সেই সাধন চন্দ্র গ্রেপ্তার হয়ে এখন কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি।
তবে তাঁর কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণ, হম্বিতম্বি কারাগারে গিয়েও কমেনি। বন্দি হয়েও কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন তিনি। পরিণতিতে নেমেও আসে সাজা। ডিভিশন বাতিল হয়ে সাধারণ বন্দির কাতারে নামিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

শুধু সাধন চন্দ্রই নন, অসদাচরণ বা দুর্ব্যবহারের কারণে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ স ম ফিরোজ, রাজশাহীর এমপি এনামুল হক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ডিভিশন বাতিল করে সাজা দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কারাবন্দি মন্ত্রী-এমপিসহ ভিআইপি বন্দিরা এমন কিছু সুযোগ-সুবিধার আবদার করেন, যা কারাবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। চাহিদামতো সুবিধা না পেয়ে তাঁরা কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি বেশ গরম পড়ায় গা জুড়াতে এয়ারকুলার চেয়েছেন কেউ কেউ।

কিন্তু কারাবিধি অনুযায়ী এটি দেওয়ার নিয়ম না থাকায় তাঁদের এ দাবি পূরণ করা হয়নি বলে একজন কারা কর্মকর্তা জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, যে সেলে তাঁদের রাখা হয়েছে, সেখানে সিলিং ফ্যান রয়েছে। সেই ফ্যান সারাক্ষণ চলে।

শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারাবন্দিদের মধ্যে কেউ যদি কারাবিধি ভঙ্গ করেন, তাহলে তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। ডিভিশনপ্রাপ্তরা করলে তাঁদের ডিভিশন বাতিল হতে পারে।

ডিভিশনপ্রাপ্ত কারো কারো ডিভিশন বাতিল হয়ে থাকতে পারে। ’ তিনি জানান, শাস্তির বিষয়টি আইজি প্রিজনস পর্যন্ত আসতে হয় না। সেটা জেল সুপারই দিতে পারেন। ’

সূত্র জানায়, গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ দেড় শতাধিক ভিআইপি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক সচিব, সাবেক দুই আইজিপি, সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন। ১৫০ জন কারাগারে ডিভিশন পেয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। অন্যরা কাশিমপুরের তিনটি পুরুষ কারাগার ও মহিলা কারাগারে রয়েছেন।

একজন কারা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, তাঁদের অনেকে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে আরাম-আয়েশে থাকার জন্য কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের কাছে বিভিন্ন জিনিস চেয়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ চেয়েছেন স্মার্ট টিভি। এ ছাড়া বাড়ি থেকে নিয়মিত রান্না করা খাবার যাতে খেতে পারেন, এমন আবদার করেন কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি। বাইরের খাবার দেওয়ার সুযোগ নেই বলে তাঁদের জানানোর পর মন খারাপও করেন তাঁরা। এবার গরম পড়ার পর নতুন করে তাঁরা এয়ারকুলার দাবি করছেন। কিন্তু তাঁদের এটি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই চাওয়া ও না পাওয়ার কারণে তাঁদের অনেকে দুর্ব্যবহার করতে পিছপা হন না।

জানা গেছে, ভিআইপিদের কেউ কেউ মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সুবিধা নিতে চেয়েছেন, যা কারাগারে গোয়েন্দা নজরদারিতে ধরা পড়েছে। সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা প্রায়ই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীদের ওপর। তাঁদের আইন ভাঙার বিষয়টি মাত্রা ছাড়ালে ডিভিশন বাতিল করে শাস্তি দেওয়া হয়। ডিভিশন বাতিল করার পর দিনই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সাধারণ সেলে। চোর-ডাকাত মাদক ব্যবসায়ীসহ অন্য সাধারণ বন্দিরা কারাগারে যে খাবার পান, সেই খাবার খেতে দেওয়া হয় তাঁদের।

এ বিষয়ে একজন কারা কর্মকর্তা জানান, কারাবিধি অনুযায়ী ভিআইপি কেউ কারাগারে অপরাধ করলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁর ডিভিশন বাতিল করা হয়। এর পরও তিনি যদি না শুধরান, তাহলে আরো কঠিন শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। যে চারজনের ডিভিশন বাতিল করে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সাজাকালীন মেয়াদ শেষে ডিভিশন ফিরে পেয়েছেন। শাস্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন আ স ম ফিরোজ ও দিলীপ আগরওয়ালা। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে রয়েছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার ও কাশিমপুরের আরেকটি কারাগারে রয়েছেন এনামুল হক।

গত বছর ৩ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর দায়ের করা একাধিক মামলায় সাধন মজুমদারকে আসামি করা হয়।

গত বছর ২৩ আগস্ট জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পটুয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আ স ম ফিরোজ দশম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।

গত ১৬ মে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হককে ঢাকার আদাবর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গত ৫ আগস্ট রাজশাহীর বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এক মামলায় এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বছর ৪ সেপ্টেম্বর গুলশান এলাকা থেকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি